কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভুয়া সনদ ও বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত মহল্লাদার আব্দুল কাদের এখন বেপরোয়া। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই হামলার শিকার হতে হয়েছে অভিযোগকারীর। এধরনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহল্লাদার /চৌকিদার আব্দুল কাদের বিরুদ্ধে। কালিগঞ্জ উপজেলার চাঁচাই গ্রামের মৃত বদিউল আলমের পুত্র গ্রাম্য চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে জানান, ধুরন্ধর আব্দুল কাদের স্কুল সনদ ও বয়স জালিয়াতি করে গত ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২ তারিখে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মহল্লাদার পদে নিয়োগের আবেদন করে। সে চাঁচাই গ্রামের মাদার আলী মোড়লের পুত্র। আবেদনকালে আব্দুল কাদের ৮ম শ্রেনী পাশের ভূয়া সনদ ও বানানো জন্মসনদ দাখিল করেছেন। অথচ এই কাদের প্রাইমারীর গন্ডি পার হয়নি। সংশ্লীষ্ট স্কুলের রেজিষ্টারে খুঁজেও সন্ধান মেলেনি তার নাম ও ঠিকানা। এদিকে চাঁচাই গ্রামের ভোটার তালিকায় তার প্রকৃত বয়স ১২/১০/১৯৮০ সাল হলেও জালিয়াতি করে জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ০১/০১/১৯৮৯ তারিখ। তৎকালীন সময়ের চেয়ারম্যান সাহেবকে ভুল বুঝিয়ে ১২/০৬/ ২০১৭ তারিখে স্থানীয় সরকার কর্মচারী বিধিমালা- ২০১৬/ তফসিল ১ মোতাবেক বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত মতে ০২/০৮/ ২০১৭ তারিখে ৭৬৭ নং স্বারকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সেই থেকে ধরাকে সরাজ্ঞান করে নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, মারপীট ও বিভিন্নজনকে হুমকী ধামকী প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদেও তার আচারণ ও কর্মকান্ড অনেক বিতর্কিত। বহুল বিতর্কিত আব্দুল কাদের ও তার সহোদর দিদার বক্স মোড়ল এক হয়ে মারপীট করে হাসপাতালে পাঠায়েছেন ১০/১২ জনকে। কাদের ও দিদারের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন ৭/৮ জন ভুক্তভোগী। থানায় ও সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেছেন ৬ জন। তবুও থেমে নেই কাদেরের দৌরাত্ম। তার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হয়, জন্ম সনদ ও শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি করে নিয়োগপ্রাপ্ত। এই কারণে তাকে বরখাস্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ হলেও অজ্ঞাত শক্তির বলে আজও স্বপদে বহাল সে। এব্যাপারে অভিযুক্ত মহল্লাদার আব্দুল কাদের এর নিকট তার ০১৭৪৬৪৮৪৭১১ নম্বরে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কিছুটা সত্য, আমি লেখাপড়া তেমন জানিনা। স্কুল সনদ ও আমার বয়স আমি ঠিক করে আবেদন করেছিলাম। একারনে সাবেক ইউএনও স্যার আমাকে কান ধরিয়ে সাজা দিয়েছিলেন। আমাকে আপনারাও ক্ষমা করবেন। আমার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু বদলোক ষড়যন্ত্র করছে, আমি সরকারী বেতন খাই সেটা ওরা চায়না।