কোনও এক দেশে একটা মেয়ে ছিলো, তাকে কেউ খুব একটা পছন্দ করতো না, মিশতে চাইতো না, কেউ বন্ধুও হতে চাইতো না। এমন কি তাকে নিয়ে পরিবারের লোকজনও ছিলো বিব্রত…
কোথাও তার বিয়েও দেয়া যাচ্ছিল না, এমন অবস্থার কারন, মেয়েটা ছিলো অন্ধ…
ব্যতিক্রম শুধু একটা ছেলে, সে তাকে খুব পছন্দ করতো, যে তাকে কখনোই কষ্ট দেয়নি, তার কাছে সে সুন্দর এই পৃথিবীর গল্প শুনতো, মনে মনে কল্পনা করতো দুনিয়াটা নাজানি কতই সুন্দর…!
একদিন মেয়েটা বললো, সে যদি এই সুন্দর পৃথিবীকে দেখতে পেতো, তবে তাকেই বিয়ে করতো।
এর কিছুদিন পর, কেউ তাকে একজোড়া চোখ দান করে – এখন সে তার প্রেমিক সহ দুনিয়ার সবকিছুই দেখতে পায় ♥
ছেলেটা একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলো, এখন তো তুমি পৃথিবী দেখতে পাচ্ছ, তো তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
মেয়েটি অবাক হয়ে গেলো যখন সে জানতে পারলো তার প্রেমিকও অন্ধ…!
সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলো। ছেলেটি ভেজাচোখে নিরবে সেখান থেকে চলে গেলো।
কিছুদিন পর, মেয়েটি ডায়েরীর মাঝে একটা চিরকুট খুঁজে পেলো, যাতে লেখা…
“এই সুন্দর পৃথিবীকে দেখবে ভাবতেও অনেক আনন্দ হচ্ছে। শুধু একটাই চাওয়া, আমার চোখদুটো যত্নে রেখো, প্রিয়…”
©Hasan Hafizur Rahman
*** সময় আর পরিস্থিতি বদলের সাথে সাথে আমাদের মনও বদলায়। কিছু মানুষ ভুলে যায় তার অতীত পরিস্থিতি, ভুলে যায় দুঃসময়ে হাতটা ধরা মানুষটিকে, ভুলে যায় কৃতজ্ঞতা স্বীকারে…
** গল্পটা এর বিপরীতও হতে পারে,, ছেলে/মেয়ে শব্দদুটি অদলবদল করেও লেখা যেতো।
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।