ব্যাবসায়ীকে অপহরন এর ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় রবিবার (২৭ জানুয়ারী) এজাহার নামীয় ২জন সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। ৩৪২, ৩২৩,৩২৫,৩০৭,৩৮৫,৩৮৭,৩৮০,৬০৬ ও পেনালকোর্ড ধারায় ৮ নং মামলা হয়েছে। এহাজার ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের ঘুষুড়ী গ্রামের আব্দুল বারী গাজীর পুত্র ভোমরা বন্দরে আমদানী রপ্তানী ব্যবসায়ি রফিকুল ইসলাম (৪৩) কে একই উপজেলার পুটিয়া গ্রামের মৃত রহমান গাজীর পুত্র জিএম কওছার আলী (৪২) ও বড়দোনা গ্রামের জবেদ আলী গাজীর পুত্র আবু মুছা (৩০) অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন সাদপুর ব্রীজ সংলগ্ম থেকে ২২ জানুয়ারী রাত ৮টায় সংগ্রাম পরিবহন থেকে নামিয়ে কওছার আলীর বাড়ীতে নিয়ে আটকে রাখে। চোখমুখ বাধা অবস্থায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে মুক্তিপোন আদায়ে নানান কৌশল করতে থাকে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রফিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া পারভীন রুমাকে ৩ লাখ টাকা আনতে বলে। সুমাইয়া পারভীন স্বামীকে জীবিত অবস্থায় ফেরত পাওয়ার আশায় ১ম কিস্তিতে ২লাখ এবং পরে ১লাখ টাকা তাদের কে প্রদান করে। এছাড়াও রফিকুলের নিকটে থাকা নগদ টাকা ও ৪টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ২৩ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দপুর (উকসা) বিলের মাঝখানে ফেলে রেখে যায়। এসময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রফিকুলের ভাই হাফিজুল ইসলামকে ঘটনার বিবরন জানাইলে তিনি কয়েকজন ব্যাক্তিকে নিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ২৪ জানুয়ারী রফিকুল ইসলামকে রক্তাত্ব ফুলা জখম অবস্থায় কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অদ্যবর্ধি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ নং ক্যাবেনে চিকি..ধিন রয়েছে। এদিকে ব্যবসায়ীর ভাই হাফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে জি এম কওছার আলী ও আবু মুছা সহ অজ্ঞত নামা ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ব্যবসায়ীর দাবি আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক অপহরণ ও জিম্মি করে ছিনিয়ে নেওয়া নগত ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও ৪ টি মোবাইল সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র ফেরত সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।