★ আপনি ও আপনারা কথিত শুসিল সমাজের জননেতা ? আমি ও আমরা দলের সামান্য কর্মী মাত্র।
★ নেতার দিন কাটে উচ্চবিত্তদের সংস্পর্ষে দামী স্প্রে ও শুভেচ্ছা প্রাপ্ত গোলাপের ঘ্রানে। আর কর্মীদের দিন কাটে দরিদ্র শ্রমজীবীর ঘাম ও ফুট পথে পড়ে থাকা পরিচয়হীন মুসাফিরের নোংরা বস্ত্রের গন্ধে।
★ নেতারা সময়ের সাথে অজ্ঞাত কারনে দলীয় প্রতিপক্ষের সহিত সুসম্পর্ক স্থাপন করে। আর কর্মী সর্বদা প্রতিপক্ষের আঘাতে জীবন কোরবানি করে।
★ নেতার মৌলিক উদ্দেশ্য তার ক্ষমতায় টিকে থাকা, আর কর্মীর উদ্দেশ্য সর্বদা দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।
★ নেতা তার গৌন উদ্দেশ্য ও অদুর ভবিষৎ সুপ্রসন্ন করতে একাধিক অনুগামী সৃষ্টি করে। আর কর্মী শত প্রতিকূলতায় দলীয় স্বার্থে নতুন কর্মী ও সমর্থক সৃষ্টি করে।
★ নেতার মর্যাদা ও ক্ষমতায় নির্দেশ আর অভিব্যক্ত প্রকাশ বাস্তবে রুপান্তরিত হয়। আর কর্মী অনুগ্রহ, অবহেলা ও প্রতিশ্রুতির নির্মম কোষাঘাতে বিপন্ন হয়।
★ নেতা মানুষের সেবা,জান মালের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। আর কর্মী রৌদ্র, বর্ষা,শীত, বাঁধা, বিপত্তি উপেক্ষা করে নেতার নিরাপত্তা ও সেবায় নিয়োজিত থাকে।
★ নেতার কতৃত্ব কে কর্মী সাদরে গ্রহণ করে, অথচ রাজনীতির অপচর্চা ও প্রহসন কর্মীর প্রতি সর্বদাই বর্ষিত হয়।
★ নেতারা একজন বিপর্যস্ত বা মূমুর্ষ কর্মীর জন্য সহমর্মিতা জ্ঞাপনের সময় পান না। আর শত শত কর্মী নেতার নির্দেশে জিবন বাজি রাখতে কুন্ঠাবোধ করেনা।
★ নেতা নির্বাচনে জনতার কাছে নিজের জন্য ভোট চান। আর কর্মী জনতার কাছে নেতার জন্য চায়।
★ নেতার দলীয় বিরোধিতা মঞ্চে ও বক্তব্যেই সিমাবদ্ধ। আর কর্মীদের বিরোধিতা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ও স্বশরীরে যাহার স্থায়িত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বিস্তৃত।
★ নেতার কাছে সমাজের বিত্তবান মিথ্যাচারী চরিত্রহীনরা অতি মর্যাদায় উত্তীর্ণ । আর একজন কর্মীর কাছে তাদের বাস্তব নগ্নতা চির ঘৃণ্য।
♣ নেতা ও কর্মীর এটাই পার্থক্য।
লেখকঃ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সাইফুল ইসলাম টুটুল।