কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জে দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক(অবঃ) আবুল কাশেম মাহমুদ নিরাপত্তাহীনতায় এখন বাড়িছাড়া। এক বছর পুর্বে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আছিয়া পারভীনের উৎপাতে দশদিন তিনি পথে পথে ঘুরছেন আর অসহায়ত্বের কথা জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, থানা পুলিশ আর সচেতন মহলকে জানিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র আবুল কাশেম মাহমুদের সাথে একই গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর কন্যা আছিয়া পারভীনের সাথে ২২/০৭/২০০১ সালে বিবাহ হয়। আছিয়া পারভীন, আবুল কাশেম মাহমুদের ২য় স্ত্রী। তাদের সংসার জীবনে দুই কন্যা ও পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে বড় মেয়ে ৮ম শ্রেনী, ছোট মেয়ে তৃতীয় শ্রেনী ও পুত্র ২য় শ্রেনীতে অধ্যায়নরত। কিন্তু স্ত্রী আছিয়া পারভীনের অনৈতিক কর্মকান্ড, স্বামীকে মারপীটসহ নানাবিধ অভিযোগে ১৪/০১/২০১৮ তারিখে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অর্ডিনেন্সের (৮নং) ৭ (১) নম্বর উপধারা মতে তালাক প্রদান করেন। সেই থেকে আছিয়া পারভীন তার পিত্রালয়ে অবস্থান করলেও চলতি মাসের ৭ তারিখে অন্যের কু-প্ররোচনায় হীন স্বার্থ হাছিল করতে সম্পুন্ন বে-আইনীভাবে কাশেম মাহমুদের বাড়ীতে এসে স্বামীকে মারপীট ও সংসারের জিনিসপত্র তছনছ করতে থাকে। এসময় থেকে কাশেম মাহমুদ অদ্যবধী নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে সময় পার করছেন। ঘটনাটি সংশ্লীষ্ট এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আবুল কাশেম নিরুপায় হয়ে আছিয়া পারভীন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানান। অপরদিকে অভিযুক্ত আছিয়া পারভীন এ প্রতিনাধিকে জানান, আবুল কাশেম মাহমুদ অভিমান করে আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন কিন্তু আমি পৃথক তিনটি নোটিশে স্বাক্ষর করেনি এবং গ্রহন করেনি। আমি তাকে ও সন্তানদের নিয়েই সংসার করতে চাই।