মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মুসলিম প্রবাসির স্ত্রী হিন্দু যুবকের সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে এলাকাবাসির হাতে-নাতে আটক হওয়ার পর মামলা হয়েছে। প্রবাসির স্ত্রী দুই সন্তানের জননী শিরিন বেগম বাদি হয়ে সম্প্রতি মঠবাড়িয়া থানায় রিপন কুমার বিশ^াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রিপন কুমার যশোর জেলার কোতয়ালী উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামের গনেশ চন্দ্র বিশ^াসের ছেলে। শিরিন বেগম উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসি মাছুমের স্ত্রী ও নলী তুলাতলা গ্রামের মোতালেব ফরাজির মেয়ে।
শিরিন বেগম মামলায় উল্লেখ করেন, আরএফএল কোম্পানীর বিভিন্ন মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সূত্রধরে রিপনের সাথে তার সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক লেন-দেনও হয়। গত ২ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে পৌর শহরের মিরুখালী রোডস্থ হাবিব মিয়ার ৩য় তলায় রিপনের ভাড়া বাসায় পাওনা টাকা চাইতে গেলে রিপন তাকে ধর্ষনের চেস্টা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসির স্ত্রী মুসলিম নারী প্রায় সময়ই রাতে রিপনের বাসায় আসতো এবং ১-৩ ঘন্টা পরে চলে যেত। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হলে ২ নভেম্বর রাত ৯ টায় ওই বাসায় দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে দুজনকেই থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে পুত্রবধূঁ শিরিন বেগমের বেপরোয়া চলাচলের অভিযোগ এনে শ^শুর মোস্তফা মিয়া বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরের মঠবাড়িয়া থানায় একটি জিডিও করেন। তিনি জানান, তার ছেলে মাছুম বিদেশ যাবার কিছু দিন পরেই তার পুত্রবধূ বে-পরোয়া ভাবে চলাচল শুরু করে। নিষেধ করলে বেশ কয়েক বার আমাকে অপমানও করেছে। তাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকিও দেয় বলে তিনি জানান।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রিপনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জিডির বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।