ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার মধ্যে কোনদল সেরা সে বিতর্কের সমাধান না হলেও এতদিন পর সমাধান মিলল এই বিতর্কের। গবেষণায় জানা গেছে ডিম নাকি মুরগী, কে আগে পৃথিবীতে এসেছে। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক দীর্ঘদিন গবেষণার পর শেষমেশ এর কূলকিনারা খুঁজে পেয়েছেন।তাঁরা বলছেন, পৃথিবীতে ডিমের আগেই মুরগী এসেছে। কারণ কোনও প্রাণীর উদ্ভব ছাড়া কখনোই তার সন্তান বা ডিম উৎপন্ন হতে পারে না…
কেন ডিমের আগে মুরগী?
গবেষণায় জানা গেছে ডিমের খোসায় ওভোক্লিডিন নামে একটি প্রোটিন পাওয়া যায়, যা ছাড়া ডিমের খোসা তৈরি হয় না। আর এই প্রোটিন তৈরি হয় শুধুমাত্র মুরগীর জরায়ুতে। এমতাবস্থায় যতক্ষণ না মুরগীর জরায়ু থেকে প্রাপ্ত এই প্রোটিন ডিম তৈরিতে ব্যবহার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ডিম তৈরি হবে না। প্রজনন কালে মুরগির জরায়ুতে ওভোক্লিডিন তৈরি হয় এবং তারপর এই প্রোটিন ডিমের খোসায় পৌঁছে যায়। তাই বলা হচ্ছে মুরগীর অস্ত্বিত্ব পৃথিবীতে আগে এসেছে…
অবশ্য এই ব্যাখ্যা নিয়েও কিছুটা মতভেদ রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণার পর জানা গেছে, কয়েকশো বছর আগে পৃথিবীতে ছিল মুরগীর মতো দেখতে এক বড় আকারের পাখি। সে পাখির সঙ্গে মুরগির জিনগত মিল ছিল। তবে তা ঠিক এখনকার মুরগীর মতো ছিল না।বিজ্ঞানীদের মতে, সেটি ছিল এক ধরনের ‘প্রোটো-চিকেন’। সেই পাখি ডিম পেড়েছিল, সেই ডিমে তার পুরুষসঙ্গী কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করে। তার পর আরও কিছু বিবর্তনগত পরিবর্তন ঘটে সেই ডিমে। আর সেই ডিম থেকেই বিবর্তন ঘটে আধুনিক মুরগীর। সুতরাং গবেষকদের মতে মুরগী নয়, বরং ডিমই আগে…
এর পরেও হয়তো অনেকে নতুন কোন যুক্তি খুঁজে বের করবেন, তবে শেষ কথা হচ্ছে, সর্বশক্তিমান চাইলে যেকোন ভাবেই নতুন কিছুর সৃষ্টি সম্ভব..
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।