নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে নিজেকে নির্বাচন অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করার অভিযোগে রিপন খন্দকার (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জের বলকুচি উপজেলার কদমতলী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে থেকে অটক করা হয়। আটককৃত রিপন খন্দকার ওই গ্রামের মৃত কুদ্দুস খন্দকারের ছেলে।
নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানাযায়, ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নাটোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহানারা বেগমের ছেলে কেএম জিল্লুর হোসেন রোববার বড়াইগ্রাম থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইন একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, তার মাতা জাহানারা বেগম আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। অজ্ঞাতনামা বিবাদী ঐদিন রাত অনুমান ২৩টা ১০ মিনিটের সময় তার মা (এমপি প্রার্থী) এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিজেকে “নির্বাচন অফিসের লোক” পরিচয় দিয়ে বলেন যে, তার মায়ের মনোনয়ন পত্রে কিছু ভুল আছে, সংশোধন করতে হবে, এজন্য কিছু টাকা লাগবে। তার মা সরল বিশ্বাসে বিবাদীর প্রদত্ত বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে গিয়ে হঠাৎ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বিবাদী’র পরিচয় সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন যে, বিবাদী তার সাথে প্রতারণা করছেন। ওই অভিযোগের বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে নাটোরের পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় বড়াইগ্রাম সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বড়াইগ্রাম থানার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ জেলায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের সহায়তায় বেলকুচি থানার কদমতলী এলাকা হতে উক্ত প্রতারণা’র ঘটনায় অভিযুক্ত রিপন খন্দকারকে সোমবার দুপুরে তার বসত বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১ টি স্মার্ট মোবাইল ও ২ টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বড়াইগ্রাম থানায় এসংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত রিপন খন্দকার নির্বাচন অফিসের লোক পরিচয়ে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করে।