ঢাকা সোমবার ২৯ জুলাই ২০১৯: ফেনীতে ১০টি মামলায় ৬ সাংবাদিককে চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিএমএসএফ। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সরকারের নিকট অবিলম্বে মামলাগুলো থেকে ওই সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এই দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ফেনীর বিভিন্ন থানার ভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া এই গায়েবী মামলায় যেভাবে সাংবাদিকদের নাম চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাতে সাংবাদিক সমাজ বিস্মিত। যে সকল সাংবাদিকদের নামে মামলায় চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে ওই সকল সাংবাদিকদের নামে ফেনীর কোন থানায় কোন অভিযোগ কিংবা একটি জিডিও নেই। পুলিশ অতি উৎসাহি হয়ে স্বাধীন গণমাধ্যমের সাথে কর্মরত সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে এই ধরনের অপচেষ্টা করছেন, যা স্বাধীন মত প্রকাশের অন্তরায়। এ সকল সাংবাদিকদেরকে নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ আলোচিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ১০টি মামলায় আসামি করা হয়।
এ পর্যন্ত ফেনী মডেল থানায় ৪টি, সোনাগাজী থানায় ২টি, দাগনভুঞা থানায় ২টি ও ছাগলনাইয়ায় ২টি মামলায় ওই ৬জনকে আসামি করা হয়। এরা হলেন, দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, বাংলা নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সোলায়মান হাজারী ডালিম, দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি এসএম ইউসুফ আলী , দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি মাঈনউদ্দিন পাটোয়ারী, বিএমএসএফ সভাপতি ও যুগান্তরের ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি নুরুজ্জামান সুমন ও বিএমএসএফ জেলা কমিটির সদস্য ছাগলনাইয়া ডটকম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির লিটন। ফেনীর বিতর্কিত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশে সংশ্লিস্ট পুলিশ অফিসাররা ওই মামলাগুলোতে তাদেরকে আসামি করছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন জনগুরুত্ব সংবাদ প্রকাশ করায় রুষ্ট হয়ে পুলিশের তৎকালীন এসপি এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার কৌশলে বিভিন্ন থানার ওসিদের দিয়ে এ মামলাগুলোর চার্জশীটে সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করান। এছাড়া আরো কিছু সাংবাদিকের নামে চার্জশীট প্রদানেরও প্রস্তুতি রয়েছে বলে বিশ^স্তসূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া সম্প্রতি বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আখলাকুল আম্বিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ১০ কোটি টাকার মানহানী মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়েছে। মামলাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।