হাফিজুর রহমান শিমুলঃ- কালিগঞ্জে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রি করার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে মাংস বিনষ্ট ও দোকান সীলগালা করা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার জিরণগাছা মোড়ে ভাই ভাই মাংসের দোকানে ঘটেছে। ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১জুন-২৪) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের জিরণগাছা মোড়ে ভাই ভাই মাংসের দোকানে গরুর মাংস বিক্রির প্রস্তুতি চলছিল। এসময়ে গুঞ্জন শুরু হয় কসাই মরাগরু জবাই করে বিক্রি করছে। মুহুত্বের মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে বিপাকে পড়ে তিন কসাই। সংবাদ পেয়ে অভিযোগের সত্যতা মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাহার আলী। এসময়ে তিনি জবাইকৃত গরুর ১’শ ৬০ কেজি মাংস করোসিন ঢেলে বিনষ্ট করেন এবং মাংস বিক্রির স্থায়ী দোকানটি সীলগালা করে দেন। অভিযুক্ত তিন মাংস ব্যাবসায়ী হলেন উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের সহিল উদ্দীন (সলু) কসাইয়ের ছেলে মোজারুল ইসলাম (৩৬), কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম সোহরাব হোসেন সরদারের ছেলে মিলন হোসেন সরদার (৩৪) ও একই গ্রামের মরহুম দেলবার সরদারের ছেলে মুনসুর আলী সরদার (৫৫)। স্থানীয় ইউপি সদস্য গাজী ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত তারা জিরণগাছা বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছেন। শনিবার ভোর ৫ টার দিকে তারা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের হজরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় ১৫ দিন যাবত গুটিবসন্তে আক্রান্ত মৃতপ্রায় একটা গরু ৯ হাজার ৫শ টাকায় ক্রয়করে মালিকের গোয়ালঘরেই জবাই করে। ভোরে ঐ মাংস জিরণগাছা বাজারে এনে দেশী এড়ে গরুর মাংস হিসেবে প্রচার দিয়ে বিক্রি করতে থাকেন। ঘটনাটি দুঃখজনক বলে কথা বলেন কুশুলিয়া ইউপির সদস্য রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন সপ্তাহে দুইদিন তাদের দোকানে গরু জবাই করা হয়। সকলেই বিশ্বাস করে পরিবারের জন্য কিংবা অনুষ্ঠানাদীর জন্য মাংস ক্রয় করতো। আজ তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাদের আরও সাজা হওয়ার দরকার। ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুস সুবহানসহ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় উৎসুক জনতা।