ঢাকা ৯ আগষ্ট ২০১৯: চট্টগ্রামের বোয়ালখালি থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহকে সাংবাদিকদের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএমএসএফ। শুক্রবার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, সরকার যখন মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স। ঠিক সেই মূহুর্তে বোয়ালখালি থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহর আ্স্ফালনে সাধারণ মানুষও বিস্ময় প্রকাশ করছেন। গতকালকের তার এই বেফাস মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওসির বিরুদ্ধে সারাদেশের সাংবাদিকদের নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তার এই ধরনের বেফাস মন্তব্যে গোটা সাংবাদিক সমাজ আজ ক্ষুব্ধ। তাই অবিলম্বে তাকে সাংবাদিক সমাজের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নয়তো বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
স্থানীয় এমপি মইন উদ্দিন খান বাদলের উপস্থিতিতে পুলিশের ওসির এরুপ মন্তব্যের বিষয়টি জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের প্রতিনিধি ও বিএমএসএফ’র স্থানীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কাজী আয়েশা ফারজানাকে কটুক্তি ও নাজেহাল করে বলছেন পুলিশ কারো বাপের চাকর নয়।
উল্লেখ্য, দৈনিক কালেরকন্ঠে ৭ আগষ্ট মাদক সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তিনি সাংবাদিক কাজী আয়েশা ফারজানাকে প্রকাশ্যে নাজেহাল করেছেন। সাইদুল ইসলাম রাসেল নামে এক মাদক কারবারিকে মাদকসহ আটকের পর তাকে ছেড়ে দেয়ায় এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
মাদক কারবারির পক্ষ নিয়ে পুলিশের ওসির এরুপ আস্ফালন জাতি মেনে নিবে কিনা জানিনা। তবে এরুপ আস্ফালনের কারনে সাংবাদিকদের কাছে ওসির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেই হবে। পুলিশের ওসির সাথে মাদক কারবারির আত্মীয়তার সম্পর্কটা কি তাও পরিস্কার করতে হবে জাতির কাছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান।এদিকে যতক্ষন পর্যন্ত বোয়ালখালির ওসি নেয়ামত উল্লাহ প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইবেন ততক্ষন পর্যন্ত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সারাদেশের সদস্য সাংবাদিকরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ওসি নেয়ামত উল্লাহ চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় খাকাকালে বেশ ক’জন সংবাদকর্মীকে আটক করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করিয়েছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ কাইসার হামিদকে ধর্ষন মামলার আসামি কর্তৃক হত্যাচেষ্টার ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি করা হয়।