হাফিজুর রহমান শিমুলঃ ডেঙ্গুমুক্ত সাতক্ষীরা গড়ার প্রত্যয়ে ছুটে চলেছি প্রতিদিন। জনসচেতনতায় চাই সকল মহলের শতস্ফুর্ততা অংশগ্রহন। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি ও সূধীজনসহ সকলেই একিভূত হয়ে কাজ করতে হবে। শনিবার (২৪ আগষ্ট) বেলা ২ টায় মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসাবে জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মত বিনিময় সভায় বক্তব্যে একথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আরও বলেন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সরকারি কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, মেম্বর, গ্রাম পুলিশ কোন অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। অন্যান্য স্থানের চেয়ে কালিগঞ্জে বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। সুতারং আপনাদেরকে বেশি বেশি জন সচেতনতায় কাজ করতে হবে। এ রোগে আমি আর কারোর মৃত্যু হোক এটা আমি শুনতে চাইনা। যে ওয়ার্ডে এডিস মশার লাভা পাওয়া যাবে, সেই ওয়ার্ডের মেম্বরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং যে বাড়ীতে লাভা মিলবে, তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
মত বিনিময়ের আগে জেলা প্রশাসক উপজেলা দক্ষীন শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মৃত নুরুদ্দীনের পুত্র রেজাউল ইসলামের বাড়ীতে অভিযানকালে গরুর পানি খাওয়া পরিত্যক্ত পাত্রে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক মশক নিধন মেডিসিন স্প্রে করে লার্ভা নষ্ট করা হয়। এবং বাড়ির মালিক রেজাউল ইসলামকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। পরে উপস্থিত সকলের মাঝে তিনি লিফলেট বিতরন করেন।
উল্লেখ্য যে, রেজাউল ইসলামের বাড়ি সদ্য প্রয়াত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত আলমগীর হোসেনের বাড়ির ১শ গজ দূরে। লার্ভা নষ্ট করা হয়েছে মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রী ও স্কুল শিক্ষকের বাড়ি থেকে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডেঙ্গুমশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ১২ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৬ জন চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের ৪ জন সচিব ও ৪ জন সংবাদকর্মী, এবং ২ জন সমাজকর্মী উপস্থিত ছিলেন।।