সূর্য উঠার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে থাকেন আলেম-ওলামারা।
জানা গেছে, তাবলিগ ও দাওয়াত, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ইসলামি মহাসম্মেলন হচ্ছে। সকাল ৯টায় এই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফজরের পরপরই রাজধানী অভিমুখে ছুটে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সূর্য আলো ছড়ানোর আগেই ভরে যায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দান।
গত রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও জনতাকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেমরা।