মোঃ আনোয়ার হোসেন: বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ ঘটিকায় ফেইসবুকার গ্রুপ অফ বাংলাদেশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জননেতা আলহাজ্ব নুরে আলম চৌধুরীর উদ্যোগে কামরাঙ্গীরচর থানার মুন্সিহাটি রেইনবো স্কুলে গ্রাম ডাক্তার / পল্লি চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে নিরাপদ চিকিৎসা ও মাদক নির্মুলে করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা ডাঃরুহুল আমিন,সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন মাদক আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি,মাদকের ব্যাবহার বন্ধের জন্য স্থানীয় গ্রাম ডাক্তারদের সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান,
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নাজির আহম্মেদ খাঁন, [এডিসি ] লালবাগ বিভাগ (ডিএমপি) ঢাকা,তিনি বলেন আপনাদের সন্তানের খোঁজ খবর নিয়ে দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি, ভয়াবহ মরন নেশা মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্য বদ্ধ থেকে সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করবো,এবং ঘুমের ঔষধের মাধ্যমে কেউ যাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে না যায়,আপনারা খেয়াল করে ঔষধ বিক্রি করবেন, যৌন উওেজক ঔষধ বিক্রয় বন্ধে আপনাদেরই আগে এগিয়ে আসতে হবে,মাদকাসক্ত কোন ঔষধ দোকানে রাখা যাবে না।একটি দেশকে একটি সমাজ কে ধংশ করার জন্য বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র লাগবে না একটি ছেলেকে মাদকাসক্ত বানানোই যথেষ্ট, জনাব এডিসি মহোদয় এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান করার জন্য জনাব রাফিন সাদ বোরহান কে ধন্যবাদ জানান। এ সময় কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব এবিএম মশিউর রহমান (পিপিএম)অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রয় নিষেধ,মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, নেশা জাতীয় ঔষধ,দোকানে রাখা যাবেনা। আমাদের সন্তানকে মাদকমুক্ত রাখতে হবে,আপনাদের সাথে আমাদেরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাবো। ডাঃ এম এইচ উসমানী বলেন মাদকসেবি মাদক বিক্রেতা ও মজুদকারীদের চিন্হিত করে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন,পল্লি চিকিৎসক ও বিভিন্ন ফার্মেসীর মালিকগনের উদ্দেশ্য করে বলেন ফার্মাসিস্ট বা ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ বিক্রি করা অপরাধ।তিনি আরও বলেন আমাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক এখন রেজিস্ট্যান্স হয়ে আছে আমরা মাছ তরকারি ও ফলমূল যাহাই খাই প্রতিটি খাদ্যেই ফরমালিন যুক্ত ১০/১৫ বছর পর আমাদের শরীরে কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না।সকল ডাক্তারকে উদ্দেশ্য করে বলেন অষ্টম শ্রেণি পাশ করে কোন রকম একটা কোর্স করে একটি ফার্মেসী দিয়ে বসে যায় এটা অপমান জনক, মাদকের সাথে ঘুমের ঔষধ জরিত, এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ন আলোচনা ও সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন,আমার হাসপাতালে মাদকসেবিদের চিকিৎসা সল্পমুল্যে করেছি,মাত্র ১০০ টাকা ভিজিটে ডাক্তার পাওয়া যায়, আপনাদের কে হাসপাতালে আসার জন্য আহবান জানাই।ডাঃমাওঃরুহুল আমিন বলেন মানুষ এখন আগের তুলনায় অনেক সচেতন এখন আর কোনও ফার্মেসীম্যান ঘুমের ঔষধ বিক্রি করে না,প্রেসক্রিপশন ছাড়া।মাদকের বিষয়ে বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ আপনারা ভালোকরে খুঁজে দেখুন কোথা থেকে মাদকের উৎপত্তি হয়। ডাঃনাজমুল ইসলাম বলেন মাদকের পাশাপাশি মোবাইল ও একটা মরন নেশা আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার আমরা এ ব্যাপারেও প্রতিকার চাই।ডাক্তার সুমন বলেন আমি কামরাঙ্গীর চর থানা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাথে যুক্ত মাদক ও নেশাজাতীয় বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত জোরালো ভুমিকা রাখবো আমরা প্রতিটি দোকানের খোঁজ খবর নিব।আরও অন্যন্যদের মাঝে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী মোঃকামাল হোসেন,কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জননেতা আলহাজ্ব নুরে আলম চৌধুরীর সমাপনি বক্তব্যে তিনি বলেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি করা যায় না, তবে এমন কোন কঠিন নির্দেশনা এখনো আসে নাই,যে এটা এখনই বন্ধ করা দরকার।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডাক্তারদের উদ্যেশ্যে বলেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন,রাফিন সাদ বোরহানের উদেশ্য করে বলেন আমি দোয়া করি ও ধন্যবাদ জানাই এ ধরনের একটি ব্যাতিক্রম অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য, তরুনেরা এগিয়ে আসলে সমাজের নানাবিধ অপরাধ মূলক কাজ করার জন্য কেউ সাহস পাবেনা,সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।