লিটন মাহমুদ, মুন্সীগন্জঃ মুন্সীগঞ্জ সদরের মহাখালী ইউনিয়নের কেওয়ার মিয়া বাড়ি এলাকার এক ভন্ড পীরের অনৈতিক কর্মকান্ডে ক্ষোভে ফুসে উঠছে এলাকাবাসী। ওই ইউনিয়নের কেওয়ার মিয়া বাড়ি এলাকার সজীব (৩৪) নামে ওই পীরের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অভিযোগ। রোববার দুপুরে কথিত পীরের ইসলাম ধর্ম বিরোধী ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করেছে এলাকাবাসী। শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাক্ষরে স্মারকলিপি পেশ করে। এতে অতিদ্রুত পীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সেখানে আইন-শৃংঙখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটার আশংকা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে, কথিত পীর সজীবের বিরুদ্ধে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে সমকামিতার অভিযোগ উঠেছে। সে এলাকার ১৪-১৫ বছর বয়সী ছেলেদের ডেকে নিয়ে তার ব্যাক্তিগত কক্ষে নিয়ে মেতে উঠে বিকৃত যৌনাচারে। ভুক্তভোগী মো. শিমুল জানায়, ভন্ড পীর সজীব তাকে ডেকে নিয়ে তার গোপন কক্ষে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে সমকামীতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করে। সে আরও জানায় তার মত উঠতি বয়সী আরো ছেলেদের সাথে ভন্ড পীর সজীব এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। সজীব পীর দীর্ঘ দিন ধরে মানুষ ঠকানোর ব্যবসা করে আসছে এবং দুর-দুরান্ত থেকে আসা লোকজনকে ঠকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। কথিত সজীব পীরের আস্তানার পাশে রয়েছে মসজিদ। কিন্তু সে নিজে কখনো নামাজ পড়ে না। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে রাতভর চলে নাচ গানের আসর। স্থানীয়রা জানান, ভন্ডপীর সজীব যা করছে তা একটি সামাজিক অপরাধ। ইদানিং সে উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে যা শুরু করেছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তার কর্মকান্ডের সংস্পর্শে এসে উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদক সেবনসহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ভন্ড পীর সজীব বসে বসে তার মুরীদদের মগজধোলাই করে থাকে। ভন্ড পীর যা বলে, সবাই তাই বিশ্বাস করেন। তার ভক্তদের মতে সজীব পীরের দরবারে আসলেই সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। প্রথমে কথিত পীর সজিব তেল ও পানি পড়া দিয়ে শুরু করে। গড়ে উঠে তার আস্তানা। বাড়তে থাকে ভক্তদের সংখ্যা। স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন- পীর হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে। আর ছোট বেলা থেকে তাকে আমরা দেখে আসছি সে কোন এলেম শিক্ষা গ্রহন করে নাই। তাহলে সে কিভাবে পানি ও তেল পড়া দিয়ে যাচ্ছে, সেটা সে নিজে ভালো বলতে পারবে। আর ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ন হারাম। আর সমকামীর মতো ধর্ম বিরোধী অপরাধ করে আসছে। ভন্ড সজীব পীরের এ ধরনের কর্মকান্ডের পর তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই কারো। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, এলাকার কিছু রাজনৈতিক নেতা ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্যতা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কথিত পীর সজিবের বিরুদ্ধে কথা বলায় শিপন নামে এক কিশোরের পরিবার হুমকি-ধামকির মুখে পড়েছেন। স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা ওই কিশোরের পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে।