হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ন উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১ল অক্টোবর) বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খাঁন মিরাজ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, তিনি বলেন শুধু পূজার দিন গুলিতে নয় কালিগঞ্জ উপজেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আমি আপনাদের পাশে সব সময় থাকব। আপনারা আমার সহযোগীতা করবেন, কারিগঞ্জ থানা হবে জনগনের আস্তা ও বিশ্বাসের স্থান। এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফিরোজা খাতুন, কালিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি রনজিৎ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিলন কুমার ঘোষ, কালিগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, গোবিন্দকাটী পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সরকার, নলতা কালিমাতা মন্দির সাধারণ সম্পাদক পুরঞ্জন স্বর্ণকার, বেড়াখালী পুজা মন্ডপের গোবিন্দ মন্ডল, বাজারগ্রামের গোপী রঞ্জন অধিকারী প্রমূখ। কালিগঞ্জ উপজেলায় এবছর ৫২টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৫১টি সার্বজনিন ও ১টি পূজা মন্ডপ ব্যক্তিগত। পূজা মন্ডপ গুলির মধ্যে ৫টি অধিকগুরুত্বপূর্ণ ৮টি গুরুত্বপূর্ণ ও বাকী পূজা মন্ডপ গুলি সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পূজার দিন গুলোতে মন্ডপ গুলির সার্বিক তদারকির জন্য একটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ মনিটরিং করা হবে। তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সার্বিক আইনশৃঙ্খলার জন্য পূজা মন্ডপ গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক, আনসার ভিডিপি, পুলিশ, সার্বক্ষনিক নজরদারীতে থাকবে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবে। বিজয়া দশমীর দিন সীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের সীমানায় বিসর্জনের জন্য বলা হয়। এবছর কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫১টি পূজা মন্ডপের অনুকুলে ২৬ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপ ৫০ কেজি করে চাউল পাবে, সভায় উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন।