আশাশুনি প্রতিনীধিঃ আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ চাপড়া গ্রামে স্ত্রী কর্তৃক তালাক প্রাপ্ত স্বামী রাতের আঁধারে প্রাক্তন স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে এসিড ছুড়ে ঝলছে দিয়েছে। মারাত্মক দ্বগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতে। এস পি সহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।
দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের একরাম গাজীর কন্যা ফাতেমা খাতুন (২৯) এর সাথে নড়াইল জেলার পঙ্কবিলা গ্রামের শওকত আলীর পুত্র শাহজাহান আলির বিয়ে হয়েছিল ৫/৬ বছর পূর্বে। বিয়ের পর স্বামীর মাদকাক্ততার কথা জানতে পারে স্ত্রী ফাতেমা। নানাভাবে চেষ্টা করেও তাকে ফেরাতে পারেনি ফাতেমা। এরই মাধ্য তাদের দু’টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে একের পর এক শারীরিক ও মানিসক শাস্তির মুখে পড়ে সে। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েকবার বসাবসি হলেও মেয়ে স্বামীর ঘরে আর যেতে রাজী হয়নি। প্রায় ৭/৮ মাস পূর্বে ফাতেমা তার স্বামীকে তালাকনামা দিয়ে নিস্কৃতির পথ বেছে নেয়। কিন্তু মাদকাসক্ত শাহজাহান স্ত্রীকে জব্দ করতে নানাভাবে ফন্দি ফিকির আটতে থাকে। সোমবার রাত্র সাড়ে ৮ টার দিকে ফাতেমা খুলনায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরেন। ঘরে ঢুকে কাপড়চোপড় ছেড়ে বাথ রুম থেকে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই গ্রীলের ফাঁক দিয়ে প্রাক্তন স্বামী এসিড ছুড়ে মারে। ফাতেমা তাকে বিদ্যুতের আলোয় দেখতে পায়। এসিডে ফাতেমার মুখমন্ডলসহ শরীরের সামনের প্রায় সমস্ত স্থানে লেগে ঝলছে যায়। এতে শিশু কন্যা জাকিয়াও (২) সামান্য ঝলছে যায়। তাদের চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে পানি দিয়ে প্রাথমিক ভাবে এসিড থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এসিড ছুড়ে দ্রুত দৌড়ে পালানোর সময় সমানের মসজিদের মুয়াজ্জিন দৌড়ে আসার সময় তাকে দেখতে পান। রাজ্জাক দৌড়ে রাস্তায় থাকা মটর সাইকেলে উঠে পালিয়ে যায়। রাতেই এসিড দ্বগ্ধ দুজনকে প্রথমে আশাশুনি হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, এএসপি (দেবহাটা সার্কেল) ইয়াছিনুর রহমান, ওসি মোঃ আব্দুস সালাম ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন। ফাতেমার অভিভাবকরা তার সাথে থাকায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের সম্ভব হয়নি।