লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় রাজশাহীতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানালেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। তিনি জানান, যদিও বা রাজশাহীতে এখনো কোন করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি তবে যদিও পাওয়া যায় সেটি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে!
এদিকে বাংলাদেশে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সভা করে সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আজ সোমবার সকালে রামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান চৌধুরী, উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, রামেকের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, রাজশাহীর ইনফেকশন ডিজিস (আইডি) হাসপাতালে এখন ১৮টি শয্যা রয়েছে। সেখানে আরও ১২টি শয্যা বৃদ্ধি করে মোট ৩০টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজন হলে রাজশাহীর তিনটি স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য।
তিনি জানান, রামেক হাসপাতালে ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের তিনটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। একটি দল রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে জ্বর -সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। আরেকটি দল সার্বক্ষণিক নজর রাখবেন রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। আর অপর একটি দল কাজ করবেন আইডি হাসপাতালে।
এছাড়া প্রয়োজন হলে জেলা মুক্তিযদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সিভিল সার্জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে কোনো রোগীকে সন্দেহ হলেই পাঠানো হবে রামেক হাসপাতালে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগি পাওয়া যায়নি। তবে জনস্বার্থে আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাখছি। সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের সব দপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছি। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসক হামিদুল হককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হককে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলাদা কমিটি করা হয়েছে।