মহামারী করোনার মাঝেও বিভিন্ন রোগি বহন করছে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। আবার বিভিন্ন জেলায় গিয়েও এরা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে চান না চালকরা। গতকাল সংগঠনের কাছে সদস্যরা এমন অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ড্রাইভার হেলপারদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মামলা দিতে পারেন। কিন্তু বর্বরোচিত হামলা কোন আইনে আছে? এভাবে চলতে থাকলে তারা এ্যাম্বুলেন্স চালাবেন না বলেও হুশিয়ারী দেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত সরকারী সেবার পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী রোগি ও লাশ পরিবহন সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। পথিমধ্যে প্রশাসনের লোকজন নানা অজুহাতে এ্যাম্বুলেন্স চালক-হেলপারকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে আসছেন। সম্প্রতি মামুন নামের একজন এ্যাম্বুলেন্স চালক ফরিদপুরের মোস্তফাপুরে রোগি নামিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে মাওয়া ঘাটে প্রশাসনের লোকজন খালি গাড়িটি আটকে দেন। এসময় বাকবিতণ্ডাকালে তাকে পিটিয়ে আহত করেন (ছবি সংযুক্ত)।
সমিতির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে হামলার চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে আহতরা হলেন রাসেল, সোহেল, মহসিন, আমির, আলাউদ্দিন, সাগর, সোলায়মানসহ অগনিত চালক-হেলপারকে মারধোর করে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয়। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ্যাম্বুলেন্স চালকদের পিপিই সরবরাহের সুযোগ থাকলেও তা করা হচ্ছেনা। পথিমধ্যে কোন চা দোকানে চা খেতেও সুযোগ দেয়না এই ড্রাইভারদের। ভাড়া বাসায় বাড়িওয়ালারা ঘর ছেড়ে দিতেও চাপ দিচ্ছেন এই মূহুর্তে। তিনি কার কাছে এই অভিযোগ করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না অভিভাবক।
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে ফেরী ও সেতুতে টোল ফ্রি করা হলেও তা অনেকে মানছেন না। তিনি সরকারের কাছে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবি করেন।