লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গাছ বাগানের একটি বাড়িতে দীর্ঘ দিন থেকে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। এই গাছ বাগান ও বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ পতিতা ব্যবসার ও মাদকের অভয়আশ্রম হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাটি সবার নজরে এলে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত ৩ নারী ও ৩ জন খদ্দরকে আটক করেন।
রাত ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গাছ বাগানের একটি বাড়ি থেকে ৬ জন গ্রেফতার করেন পুলিশ।অনেকে ধারণা বেশ কিছু দিন থেকে লক্ষ করা যায়।
আটকৃতরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির পশ্চিম ফকির পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ফুল বানু (৪৮) ও তার মেয়ে মমিনা বেগম অরফে ছামিনা (২৫) ,সে ভ্যান চালক জিয়ারুল ইসলাম জিয়ার স্ত্রী, উপজেলার গড্ডিমারী ইউপির চর গড্ডিমারী গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে লাভলী (২৮) ও বড়খাতা দোলাপাড়া গ্রামে মৃত এজাম উদ্দিনের ছেলে খদ্দর রেয়াজ আলী (৫৫)। পাটগ্রাম উপজেলার রহমান পুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (২৪) ও পাটগ্রাম বাউরা ইউপির নবীনগর গ্রামের কোবেদ আলীর ছেলে বরাত হোসেন (১৫)।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার রমনীগন্জ গ্রামের মৃত আহম্মেদ মিয়ার ছেলে নুর ইসলাম ও তার স্ত্রী ফুলবানু ও তার মেয়ে ছামিনা বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়ে সংগ্রহ করে জমজমাট দেহ ব্যবসা শুরু করেন। প্রতিদিন সন্ধার পর শুরু হয় খদ্দর আসার। এঘটনাটি এলাকার অনেকেই মুখ খুলতে পারেন না। প্রতিবাদ করলেই দেওয়া হয় নারী নির্যাতন মামলা ।
হাতীবান্ধার থানার এসআই আজিজ বলেন, রাত ৯ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গাছ বাগের বাড়িতে অভিযান চালাই ওই সময় অনৈতিক কাজ করার সময় হাতে নাতে ধরা পরে ৩ খদ্দর । এ সময় বাড়ির মালিক নুর ইসলাম পালিয়ে গেলেও স্ত্রী ও মেয়েকে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকায় আরও এক মেয়েকে আটক করি । এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করি ।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফরুক নিশ্চিত করে বলেন, আটক কৃতদের জেলহাজতে পাঠান হয়েছে। তিনি আরও বলে, মাদক ও দেহ ব্যবসা ঠেকাতে ওই এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হবে