রেজাউল ইসলাম (মঠবাড়িয়া) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামে গৃহবধূ তানজিলা বেগম (২৬) কে মারধর করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মামলা হয়েছে। গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে তানজিলার বাবা মো. সিদ্দিক মীর বাদী হয়ে মেয়ের শ্বশুর মো. ধলু মুন্সী ও শাশুড়ি আলেয়া বেগমসহ তিনজনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই শাশুড়ি আলেয়াকে গ্রেফতার করেছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের ধলু মুন্সীর ছেলে নাসির মুন্সীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মীরের মেয়ে তানজিলার বিয়ে হয়। পরবর্তীতে নাসির কাজের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে আছেন। পুত্রবধূর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর-শাশুড়ির ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরগির বাচ্চাকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে তানজিলার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর উত্তেজিত হয়ে পুত্রবধূকে টানাহেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে শশুড় ও শাশুড়ি যৌথভাবে তাঁকে মারধর করেন। তানজিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তানজিলাকে মারধরের এই ঘটনা একজন মুঠোফোনে ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। ঘটনার পর থেকে তানজিলার শ্বশুড় ধলু মুন্সি পলাতক রয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফেরদৌস ইসলাম বলেন, তানজিলা বেগমের শরীরে জখমের চিহ্ন আছে। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঠবাড়িয়া থানার (ওসি) মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, গৃহবধূ তানজিলা বেগমকে মারধরের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং তানজিলার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই গৃহবধূর শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সকালে আলেয়া বেগমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী দুজনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।