লিয়াকত রাজশাহী : রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম কলেজের সামনে এক মুদি দোকানে সশস্ত্র হামলা ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই মুদি দোকনদারকে ‘প্যাকেট করে’ কিশোরগঞ্জ পাঠিয়ে দেয়া ও তার ছেলেকে গুম করে ফেলার হুমকির অভিযোগও উঠেছে। শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেল ৫টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে জরুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তোভোগী ওই মুদি দোকানীর নাম মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন পাঁচানী এলাকার বাসিন্দা। আর অভিযুক্তরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ শাখার কর্মচারি মো. মতিউর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী মোসা. মিতা (৩৮), ছেলে মো. মেরাজ (১৮) ও মেয়ে মোসা. মৌ (২৫)।
সংবাদ সম্মেলনে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে রাবি কর্মচারি মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় আমার দোকান ঘরে রড-হাসুয়াসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, দোকানের সকল মালামাল ভাংচুর করে। এ সময় বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ৫০ হাজার টাকাসহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামাল ভাংচুর করে তারা। বর্তমানে তারা আমাকে ‘প্যাকেট করে’ কিশোরগঞ্জ পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
সিরাজুলের স্ত্রী মোসা. নূরী বেগম জানান, তিনি রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত। আসামীরা তার স্ত্রীর চাকরি খেয়ে নিবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। এতবড় ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাধ্য হয়ে রাজশাহী কোর্টে মামলা করা করি। তবে আসামীরা প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমার বড় ছেলে মো. ফাহিম শাফি রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে সিভিল বিভাগে দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত। তবে তার পরীক্ষা চলমান রয়েছে। তাকেও হয়রানীমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে আসামীরা। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ এব্যাপারে জানান, আদালতের নির্দেশনা পাওয়া গেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।