কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জে শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারস্থলে নির্মিত হচ্ছে এটিএম বুথ, নেপথ্যে ইউপি চেয়ারম্যান। তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে থলের বিড়াল। বিষয়টাঘীরে অসন্তোষ বিরাজ করছে মৌতলা ইউনিয়নের পরিষদবর্গের মাঝে।
সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ নং মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর উদ্যোগে নির্মান করা হয়েছিল শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার ও শেখ রাসেল চত্বর। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী পাঠাগার ও রাসেল চত্বরের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছিলেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান। যে সংবাদটি বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ পায়। অথচ বর্তমানে খোঁজ মিলছেনা শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগারের। বর্তমান চেয়ারম্যান পরিষদবর্গের গোপন করে ব্যাংকিং শাখার এটিএম বুথ এর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। যার কাজ বর্তমানে চলমান আছে। রাসেল স্মৃতি পাঠাগার এর সাইনবোর্ড ও নির্ধারীত ঘরের কোনো হদিস নেই এখন। এনিয়ে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে চলছে চরম হট্টগোল ও চাপা ক্ষোভ। ইউপি সদস্য আকবর আলী, মশিউর রহমান, খলিলুর রহমান ও মাহফুজা খানমসহ সকলেই এপ্রতিনিধিকে চেয়ারম্যানের সেচ্চাচারিতা ও একগুয়েমী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ইউপি সচিব মহাসীন কবীর এর নিকট শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার স্থাপন করে গেছেন। তবে বর্তমানে এই পাঠাগারের কোন হদিস নেই। কাগজে কলমে আমি কোন কিছু পায়নি। মৌতলার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার কিংবা রাসেল চত্বর নামে আমি এসে এখানে কিছু দেখিনি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে পরিষদ ক্যাম্পাসে নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ নির্মান করেছি, পার্ক নির্মানের কাজ চলমান আছে। পরিষদের মসজিদের সামনের যায়গাটা এটিএম বুথের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ পরিষদের মাধ্যমে জনকল্যানে খরচ করা হবে।