নিহত রুমা পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার গনেশপুর এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে। বর্তমানে মায়ের সঙ্গে তিনি নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের মুক্তিনগর নয়াআটি এলাকায় আমির পাগলার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের মা রহিমা জানান,রুমা আদমজী মুনলাইট গার্মেন্টে চাকরি করতো। তার সাথে কাজ করতো টুম্পা নামে একটি মেয়ে। সে পাঠানটুলি এলাকায় থাকতো। গত( ১২ মে) বেতন পাওয়ার পর রুমা আর বাসায় আসেনি। পরে অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ঈদের আগের দিন রাতে রুমা ৩নং ওয়ার্ডে তার মায়ের বাসায় যায়। এ সময় তার মা তাকে বেতনের টাকার কথা জিজ্ঞেস করলে বলে টুম্পা আপুর কাছে আছে। আমি ঈদের দিন সকালে আসবো। একথা বলে সে আবার পাঠানটুলি টুম্পার বাসায় চলে যায়। পরে ঈদের দিন বিকেলে টুম্পা তার মাকে ফোন দিয়ে রুমার অবস্থা খারাপ বলে জানায়। পরবর্তীতে অসুস্থ অবস্থায় রুমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের মায়ের দাবী তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ময়না তদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বান্ধবী টুম্পাকে আটক করা হয়েছে।