হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী করোনা প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন ঘোষনার ফলে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা ফিরে এসেছে। তবে প্রয়োজন জিও, এনজিও, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী ও সূধীবৃন্দের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে করোনা প্রতিরোধে প্রচারণার। জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় লকডাউনের ৪র্থ দিনে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’র উপস্থিতিতে পুলিশী তল্লাশী ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। লকডাউনের গত ৪দিনে উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন না মানায় করোনা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৭টি মামলা ও সাড়ে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় জনসচেতনতায় উপজেলা হাট বাজার ও গুরুত্বপুর্ণ মোড়ে মোড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বক্তব্যে বলেন- সাতক্ষীরায় গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমন মারাত্মক আকার ধারন করেছে। যার কারনে গত বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির জেলা সভাপতি এস.এম মোস্তফা কামাল স্যার সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী ৫ জুন থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ৭ দিন প্রথম পর্যায়ে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেন। যার ফলশ্রুতিতে মঙ্গলবার (৮ জুন) লকডাউনের ৪র্থ দিনে উপজেলা এলাকায় বিভিন্ন সড়কে পুলিশী চেকপোষ্ট বসিয়ে সাধারন মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেছি। এসময় চায়ের দোকান, হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। তিনি সকলকে সরকারী কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়ন সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা দেন এবং কাজ ছাড়া অযথা বাইরে না আসার আহবান জানান। থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন মাক্স ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে আসবেন না, জরুরী কাজ ছাড়া অযথা ঘোরাঘুরি করা যাবেনা। সকলকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন যদি কেউ বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। আপনি ভাল থাকুর, আপনার পরিবার ও এলাকা তথা দেশকে ভাল রাখুন।