গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রুহুল আমিন (ধলাই) মীর হত্যার ঘটনায় স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে মিরাজ মীর ও তার বাবা জসিম মীরকে প্রধান আসামী করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের নামে থানায় শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী জসিম বাদী নাজমুন নাহারের সম্পর্কে চাচাতো ভাসুর হন। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযাগে কিশোর গ্যাং এর ছয়জনকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, আদালত ছয় জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
গলাচিপা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানান, উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পাড়ডাকুয়া গ্রামের ওই এলাকার খালেক মীরের ছেলে রুহুল আমিন(ধলাই) মীরকে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মিরাজ ও চাচাতো ভাই জসিম মীরের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অর্ধশতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা গত শুক্রবার উপজেলার পাড়ডাকুয়া ব্রিজ বাজারে রুহুলের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত রুহুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে লেবুখালী ফরিঘাট এলাকায় তার মত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রুহুলের স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে শনিবার থানায় হত্যার সাথে জড়িত মিরাজ মীর ও তার বাবা জসিম মীরকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনকে উল্লেখ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযাগে পাড়ডাকুয়ার বদরুল ইসলাম খানের ছেলে সিফাত খান(২৬), গলাচিপা পৌরএলাকার শ্যামলীবাগের মো. কালাম হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২২), মো. মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হাওলাদার(২৩), আব্দুল ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মাহমুদ শাকিল (২৩), নতুন বাজার এলাকার মো. কবির হোসেনের ছেলে মো. শহিদুজ্জামান ইমন (২১) ও শ্যামলীবাগ এলাকার মনান হাওলাদারের ছেলে নাঈম হাওলাদার (২১) কে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা গলাচিপা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিহ্নিত কিশোর গ্যাং এর সদস্য হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো.আতিকুল ইসলাম বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ও উপজেলার বাইরে জমিজমার বিরোধীয় এলাকায় ভাড়াটে লাঠিয়াল হিসেবে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাকী আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযাগে ছয়জনকে গ্রফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রফতারের জন্য অভিযান চলছে।