হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ভূমিহীন জনপদে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি বুধবার (৭ জুলাই)সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালি ব্রীজের পাশে ঘটে। আহতদের কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ইন্দ্রনগর গ্রামের নবাব আলী সরদারের পুত্র শহীদুল ইসলাম, তার ভাই রবিউল ইসলাম ও একই গ্রামের শওকত হোসেনের পুত্র তৌহিদ হোসেন। কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শহীদুল ইসলাম জানান, চিংড়িখালির সরকারি ৩শ বিঘা খাস জমিতে তারাসহ ১শ ৪৯টি পরিবার ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। তাদেরকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রতিপক্ষ ভুমিদস্যু কাদের পাড়, রেজাউল পাড়, মনিরুল পাড়সহ একটি মহল চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে তাদেরকে ইতিপূর্বে কয়েকবার হুমকিও দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শহিদুলসহ তার ভাই রবিউল ইসলাম, মহাতাব বসুখালি যাওয়ার পথে বসুখালি ব্রীজের পশ্চিমপাশ চিংড়িখালির পারে তার উপর লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও শাবল দিয়ে হামলা চালায় ইন্দ্রনগরের ভুমিদস্যু মনিরুল ইসলাম পাড়, রেজাউল ইসলাম পাড়, কাদের পাড়, আব্দুস সালাম সরদার, গোলাম সরদার, চিংড়িখালির ইসরাফিল হোসেন সানা, গফফার সানা, কাশীবাটির মনির সরদার, বৈরাগীর চৌকির রহমান পাড়, করিম পাড়সহ কয়েকজন। এসময় তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে ভাইপো তৌহিদকেও মারপিট করে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা খবর পেলে ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্বজনরা তাকে (শহীদুল) উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স, রবিউল ইসলামও তৌহিদকে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে কাদের পাড় জানান, শহীদুল ইসলাম বুধবার বিকালে চিংড়িখালিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্স পরে একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে শহিদুলসহ অনেকে উপস্থিত হন। সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামরা করে। কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক হাসানুজ্জামান এপ্রতিনিধিকে জানান, এ ঘটনায় শহীদুল ইসলাম বাদি হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহষ্পতিবার(৮ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থলে ঘুরে এসে তিনি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।