কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার গোয়ালঘেষিয়া নদীর তীরে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫নং পোল্ডারের স্লুইস গেটের দুই পাশে অবৈধভাবে বালি রাখার ফলে স্লুইস গেটের পাশের মাটিসহ আশপাশ এলাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে অতি ব্যস্ততম স্লুইস গেটের ভাঙ্গন হলে ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্খা করছে সচেতনমহল।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যায়, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্ধকাঠি গ্রামের আফসার গাজীর ছেলে সাঈদ গাজী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকা ও ট্রলার যোগে বালি এনে সুইজগেটের দুই পাশে মজুদ রেখে ব্যবসা করছে। যার ফলে সুইজগেটের দুই পাশের মাটি সরে যেয়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে সুইচ গেট ভেঙে শত শত মৎস্য ঘের, ফসলের জমিসহ গ্রামের পর গ্রাম নদীর পানিতে প্লাবিত হতে পারে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্ধকাটি গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে আশরাফুল, রুহুল আমিনের স্ত্রী তাহমিনা খাতুন, গফুর মোড়লের ছেলে লুৎফর রহমান, আব্দুল আলিমসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, আমরা গরীব অসহায় মানুষ, ওয়াপদার ভেড়ির পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গায় ঘর বেঁধে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করি। দুই বছর পূর্বে বন্ধকাটি গ্রামের বারী গাজীর কাছ থেকে বসবাস করার জন্য জায়গা কিনে বালির ব্যবসা করছে সাঈদ। বালি রাখার করণে অামাদের ভীষন ক্ষতি হচ্ছে। বালি উড়ে অামাদের ঘর বাড়িতে ঢুকছে। ভাত তরকারিতে পড়ছে, বাচ্চাদের চোখেমুখে ঢুকছে। তাছাড়া গাড়িতে করে বালি বহন করার ফলে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। তাকে নিষেধ করলে উল্টো অামাদের হুমকি দিচ্ছে। গ্রামের মহিলারা নিষেধ করলে তাদের সাথে খারাপ অাচারেণ করছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাঈদের সাথে কথা হলে সে জানায়, সাতক্ষীরার খলিলুল্যাহ ঝড়ু সাহেবের নির্দ্দেশে এখানে বালি ব্যবস্যা করছি। অতি প্রয়োজনীয় স্লুইজগেটের দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বেলদার গোলাম রসুল জানায়, সাঈদকে একাধিকবার এখানে বালি না রাখার জন্য নিষেধ করা হলেও সে কথা শুনতে চায়না। উল্টো নানান রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়ারকাস্টা) কার্য সহকারী সুব্রত বলেন, বিষয়টি অামি স্যারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। দ্রততম সময়ের মধ্যে বালি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন অবৈধভাবে বালির ব্যবসায় জড়িত সাঈদ চেয়ারম্যান রিয়াজ সাহেবের লোক তিনিই ভাল বলতে পারবে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভেড়ি বাঁধের উপর বসাবসকারী ব্যাক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অামি নিজেই সরেজমিনে গিয়ে সাঈদকে বালি সরিয়ে নিতে বলেছি কিন্ত সে অজ্ঞাত শক্তির জোরে কথা শুনছেনা। তাদের কারণে বন্ধকাটি, নীলকন্ঠপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তা ব্যাপকভাবে কষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া এলোমেলো বাতাসে বালি উড়ে স্থানীয়দের বসবাস করতে কষ্ট হচ্ছে। কালিগঞ্জ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫ নম্বর পোল্ডারের এসও আব্দুল খালেক এর নিকট জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ঐস্থানে বালি তুলে ব্যবস্যা করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি সরেজমিনে যাচ্ছি এবং অবৈধ্যভাবে বালি গুদমকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।