হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপি’র নৌকার প্রার্থী শ্যামলী অধিকারীকে লক্ষ্য করে ককটেল বিষ্ফোরণের অভিযোগ। নৌকার প্রার্থীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি রবিবার (২১ নভেম্বর) রাত আনুঃ ১০টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের শ্মশান ঘাট এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে ঘটেছে। বিষয়টি ঘীরে এলাকায় নানান গুঞ্জনে চাওর হয়ে উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শ্যামলী রানী অধিকারী আ’লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় ককটেল বিষ্ফোরণে আহত হওয়ার খবরে ঘটনাস্থলের অদুরে কৃষ্ণনগরে বাজারে টহলরত থানার উপ পরিদর্শক অহিদুর রহমান এবং এ,এস,আই ইব্রাহীম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘিরে ফেলে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পৌছে এবং সেখান থেকে ১টি পলিথিনে মোড়ানো বিস্ফোরিত কাঁচের খন্ড অংশ সহ বেশ কিছু জালের কাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি রহস্য মনে হওয়ায় সোমবার সকাল ৮টার সময় সরে জমিনে ঘটনাস্থলে গেলে কৃষ্ণনগর গ্রামের শ্মশান ঘাট এলাকায় বসবাসরত ফাতেমা খাতুন, শফিকুল ইসলাম, রোমেছা খাতুন সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায় রবিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নেঙ্গী এলাকা থেকে নির্বাচনী পথ সভা ও প্রচার, গণ সংযোগ শেষে বাড়ি ফিরছিল। ঐ সময় মিছিলের আগে থেকে দুটি মটরসাইকেল এসে একটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে চলে যায়। বিস্ফোরনের ৫ মিনিট পর শ্যামলী রানীর দল বল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে ডাক চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ঐ সময় থানায় খবর দিলে কৃষ্ণনগর বাজারের টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘিরে ফেলে। এব্যাপারে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য হাসপাতালে ভর্তি নৌকার প্রার্থী শ্যামলী রানীর নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান রবিবার রাতে নেঙ্গী হতে প্রচারনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শ্মশান ঘাট এলাকায় পৌছানো মাত্র আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপর বোমা হামলা করলে আমি আহত এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। কে বা কাহারা বোমা মেরেছে সেটা বলতে পারি না। আমার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তারা একাজ করেছে বলে আমার বিশ্বাস। আমি নির্বাচন করবো না। সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো।