তন্ময় শাহ্, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ঃ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষার শেষ দিন ছিল বুধবার। এই দিনে জানা গেল, একটি মাদ্রাসার ১৯ জন পরীক্ষার্থীই ভুয়া। তারা টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসে তারা ধরা পড়ে। পরে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রশাসন ও সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, বুধবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষার শেষ দিনে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, লাউথুতি হকনগর দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে। সে সময় দুই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি স্বীকার করে। পরে ওই দুজনকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানতে পারেন, কেন্দ্রে আরও ভুয়া পরীক্ষার্থী আছে। পরে তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা ও সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষার্থীদের জেরা করেন। তারাও অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। এতে সব মিলিয়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে ১৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তবে প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থীদের চেহারার মিল ছিল।
এক পরীক্ষার্থী জানায়, প্রথম থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিল ১৭ জন। বাকি দুজন শেষ পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে চুক্তি হয়েছে। তারা সবাই দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার নন্দইগাঁও সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
লাউথুতি হকনগর দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হামিদুর রহমান বলেন, তাঁদের মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্ত করার জন্য ভুয়া পরীক্ষার্থী দিয়ে দাখিল পরীক্ষা দেওয়াচ্ছিলেন তাঁরা। এখন বুঝতে পারছেন, এটা ঠিক হয়নি।
ইউএনও আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, বয়স বিবেচনা করে পরীক্ষার্থীদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর মাদ্রাসাটিকে কালোতালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
তন্ময় শাহ্
01722092024