হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ফারিহা পারভীন (১২) নামের পঞ্চম শেণির ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ধ্রমজালের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামে ঘটে। সে দেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ও একই এলাকার বিদ্যুৎ মিস্ত্রী শেখ রবিউল ইসলামের মেয়ে। খবর পেয়ে রাত ৭ টায় থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে লাশ সাতক্ষীরার মর্গে পাঠিয়েছে। সরেজমিনে গেলে নিহতের পিতা শেখ রবিউল ইসলাম, মা লাইলী বেগম, বোন ফারহানা খাতুন, চাচাতো বোন ফারজানা আক্তার মিতা, ফুফু সাইফুন্নেছা ও প্রতিবেশী মনিরুল ইসলামসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, ঘটনার দিন সকালে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। নিহত স্কুলছাত্রী ফারিয়া এবং তার বোন ফারহানা বাড়িতে ছিলো। আনুঃ বিকেল ৪ টার দিকে বোন ফারহানা পার্শ্ববর্তী চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সুযোগ বুঝে ধর্ষক বাড়িতে ঢুকে ফারিয়ার নির্জন কক্ষে ঢুকে পড়ে। পরে ধর্ষণ চেষ্টা চালানোর একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে ঘরের আড়ায় হাঁটুগাড়া অবস্হায় ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার বোন ফারহানা ঘরে প্রবেশ করে বোনকে ওই অবস্হায় দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় প্রতিবেশী মনিরুল ইসলাম এসে নিহত ফারিয়াকে ঝুলন্ত হাঁটু গাড়া অবস্হায় নামায়। সন্ধ্যায় তার বাবা-মা বাড়িতে আসলে থানায় খবর দেয়া হয়। তখন তার গালে পান সুপারি থাকায় সকলের ধারণা ছিল পান সুপারি গলায় বেঁধে মারা গেছে। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় তার নিম্নাঙ্গে রক্তক্ষরণসহ আলামত দেখে বিষয়টি নিয়ে ধর্ষণের নানান গুঞ্জন তোলে এলাকাবাসী। স্হানীয় ইউপি সদস্য কলিম গাজী বলেন, আমি শুনেছি পান-সুপারি খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মু্ক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাকিম বলেন, এটি সাধারণ কোন মৃত্যু মনে হচ্ছে না। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যা হতে পারে, যথাযথ তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে সঠিক তথ্য। এ বিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ জানান, বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে। তবে ৬ অক্টোবরের এ ঘটনায় থানায় একটি অপমূত্যু মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং ২৯।