সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে পরসম্পদ লোভী, আইন অমান্যকারী ও এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কালিগঞ্জের ছনকা গ্রামের শেখ আঃ সবুরের পুত্র শেখ সাদিকুর রহমান গংয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জের ছনকা গ্রামের মৃতঃ শেখ আঃ রহিমের পুত্র শেখ লুৎফর রহমান। তিনি বলেন- আমাকে একাধিকবার হুমকি প্রদর্শন করে বলে যে, আমার নির্মিত ৫টি ঘরের পাকা ফাউন্ডেশনের জায়গা জবর দখল করে নেবে। তারা দম্ভোক্তি আস্ফালন করে বলে আইনীর ধার ধারিনা। বাঁচতে চাইলে ফাউন্ডেশনকৃত ৫টি দোকান ছেড়ে চলে যাবি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বংশ ধ্বংস করবো। আমি বর্তমানে সাদেক গংয়ের ভয়ে ভীত হয়ে অজানা আতংকে আমি সহ আমার পরিবার সদস্যরা দিনাতিপাত করছি। মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর মৌজার এস,এ ৩৪৬ খতিয়ানের এস,এ ৭০৩ সহ কয়েকটি দাগ একত্রে সর্বমোট ০.৫০ একর জমি আমার পিতা মৃত শেখ আঃ রহিম উল্লেখিত খতিয়ানের এস,এ রেকডিও মালিক মৌলুদা খাতুনের পুত্র শেখ ইয়াছিন আলীর নিকট হইতে রেজেষ্ট্রি কোবলা মুলে ১৯৮৪ ইং সালে খরিদা করেন। অদ্যবধি ওয়ারেশগণ ক্রমে শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখলীকার আছি। বর্তমান সেটেলমেন্ট জরিপে আমার পিতার খরিদা ০.৫০ একর জমির মধ্যে ০.৩৭ একর জমি আমাদের নামে আর,এস হাল খতিয়ান ৩৬ এস,এ ৭০৩ দাগে আমি ইং—২০০৫ সালে ০৫টি ঘরের পাকা ফাউন্ডেশন নির্মান করি।অর্থাভাবে আমি ঘরের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারিনী। যাহা অদ্যাবধি বিদ্যমান ও দৃশ্যমান আছে। উল্লেখিত জমি কালিগঞ্জ উপজেলার সদরে অর্থাৎ উপজেলা মাঠের পূর্ব পাশ্বের রাস্তার পিছনে অবস্থিত। আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি শেখ ছাদেকুর রহমান গং তার দলবল সহ আমার ভোগ দখলকৃত ৫টি ফাউন্ডেশনের জায়গা জবর দখল করে আমাকে বেদখল করবে সে জন্য আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট ঘটনার বিবরণ ও প্রতিকার চেয়ে আবেদন করি। চেয়ারম্যান সরেজমিনে তদন্ত করেন। নোটিশ দিয়ে ধার্য্যদিনে উভয় পক্ষের বক্তব্য ও কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে তিনি অফিস আদেশে পরিস্কার ভাবে নালিশী জমিতে আমার ভোগ দখলের কথা উল্লেখ করেছেন অথচ হুমকি দাতাগণ উক্ত আদেশের তোয়াক্কা করছেন না। আমি নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরা বরাবর ১৪৫ ধারায় ১২২১/২২কালি অভিযোগ করিলে বিজ্ঞ আদালত কালিগঞ্জ থানার দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নালিশী জমিতে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে এবং মাননীয় সহকারী কমিশনার ভুমি কালিগঞ্জ কে নালিশী সম্পত্তির ভোগ দখল সম্পর্কিত তথ্য তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তদন্ত পূর্বক নালিশী জমিতে আমার শান্তিপূর্ন ভোগ দখলের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন। মহামান্য হাইকোর্ট নালিশী জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উল্লেখিত নালিশী জমিতে আমার শান্তিপূর্ন ভোগ দখলের কথা উল্লেখ করেছেন। অথচ শেখ সাদেকুর গংরা উক্ত আদেশের কোন তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে, বেআইনী ভাবে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। নালিশী জমির বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, শিক্ষক, ব্যবসায়ীগণ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ লিখিত ভাবে নালিশী জমিতে আমার ভোগ দখলে আছে মর্মে প্রত্যয়ন দিয়েছেন। শেখ সাদেকুর রহমান গংরা দম্ভোক্তি করে বলে তাদের খুঁটির জোর অনেক শক্ত, কাগজে লিখে তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সব কাজ করে। এক্ষণে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তদন্তের মাধ্যমে কাগজ পত্র দৃষ্টে আমার নিজের ভোগদখলীয় জমি অন্যায়ভাবে জবর দখল পূর্বক আমাকে বেদখল করিতে না পারে তাহার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।