২২শে জুলাই ২০১০, টোকিওর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ সুজেন কাতো এর ১১১ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা কার্ড ও উপহার সামগ্রী নিয়ে আসন্ন বৃদ্ধ দিবসের সম্বর্ধনার দাওয়াত দিতে হাজির হন আদাচি ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। পরিবারের লোকজন জানান তিনি উপর তলায় বিশ্রামে আছেন, তাকে বিরক্ত করা যাবে না। শতায়ু সবজিভোজিকে শুভেচ্ছা জানাতে নাছোড় কর্তৃপক্ষ পুলিশসহ বেডরুমে গিয়ে কম্বল মুড়িয়ে বিছানায় শোয়া জাঙ্গিয়া পরানো একটা কংকাল খুঁজে পান। লোকটি সম্ভবতঃ ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসে ইহলোক ত্যাগ করেছে। মৃত্যুসংবাদ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে উত্তরাধি -কারীরা বিগত ৩২ বছর তার পেনশনের টাকা খেয়েই চলেছে। আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে সুজেন কাতোর মেয়ে মিচিকো কাতো ও নাতনী টোকিমি কাতোর আড়াই বছরের জেল হয়। কিন্তু আত্মসাৎকৃত ৯৫,০০,০০০ ¥ বা ১১৭,৯৩৯ $ সরকারের ঘরে জমা দিয়ে এবং অনুশোচনা প্রকাশ করে তারা আপিলে মুক্তি পান…
টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের, অনুসন্ধানে জানা যায় ২৩৪,৩৫৪ জন শতায়ুর মধ্যে ৭০০০০ জন ইতিমধ্যেই ঈশ্বরের প্রিয় তালিকায় চলে গেছে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাদের একজনের অকাল প্রয়াণ না হলে সেবছরেই তার ১৮৬ বছর পূর্ণ হতো!!
লেখকঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান।