হাফিজুর রহমান শিমুলঃ কালিগঞ্জে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৪ জুন-২৩) বেলা ১২ টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার বাজার গ্রাম রহিমপুর গ্রামের শেখ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মোছাঃ নুর নাহার। তিনি বলেন আমি একজন নিরীহ গৃহ বধু, আমার স্বামীর সাথে রতনপুর ইউনিয়নের গড়ইমহল গ্রামের শেখ আনছার আলীর পুত্র শেখ সাইদুজ্জামান ও তার স্ত্রী ইভা, এবং ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের বৈদ্যনাথ মন্ডলের পুত্র অনুপ কুমার মন্ডল পূর্ব পরিচয়ে বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায়ে আমার স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার স্বামীকে শেখ সাইদুজ্জামান বলে যে, আমার সরকারী ও বেসরকারী অনেক দপ্তরে যোগাযোগ আছে। আমার স্ত্রীকেও কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরী পাইয়ে দিয়েছি। আমার স্বামী তার কথায় বিশ্বাস করে আমার ভাসুরের দুই ছেলের চাকুরী দেবে বলে সাইদুজ্জামান, ইভা ও অনুপসহ গন্যমান্যব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শেখ সাইদুজ্জামান আমার স্বামীর নিকট থেকে নগদ সাত লক্ষ টাকা গ্রহন করে। দীর্ঘদিন তালবাহানার পরে এক পর্যায়ে আমার স্বামী জানতে পারে সাইদুজ্জামান একজন প্রতারক ও ঠকবাজ। এরকম চাকুরীর লোভ দেখিয়ে আরও অনেকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমার স্বামী বুঝতে পেরে তার নিকট উক্ত সাত লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে নানান রকম তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর চাপে আমার স্বামীর ব্যাংক একাউন্টে ২৮/০৯/২০২১ তারিখে একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দেয়। পরবর্তীতে আরও ৩৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকী ৫ লক্ষ,১৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে আর কোন টাকা ফেরত দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। টাকা চাইলে পরিবারের জান মালের ক্ষতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। সে হুমকী দিয়ে বলে ডি,আই, জি আমার আত্নীয়, আমার পিতা গ্রাম পুলিশদের উপজেলা কমান্ডার, তাছাড়াও আমার উপর মহলে অনেক হাত আছে, যদি প্রাণে বাঁচতে চাস তাহলে টাকা চাইবি না। পরবর্তীতে সাইদুজ্জামান ও ইভাকে পথিমধ্যে দেখতে পেয়ে আমি আমার স্বামীর টাকা ফেরত দিতে বলায় আমার এবং আমার কোলের শিশু কন্যাকে মারতে উদ্যত হয় ও বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে ইভা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমি আইনী ব্যবস্থা নেব তারা জানতে পেরে আগে থেকে আমার স্বামী ও আমার নামে আদালতে সাইদুজ্জামান ও তার সহযোগী অনুপ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরা ৪/৫/২৩ তারিখে
আমার বাড়িতে সকালে বাদীসহ উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে আমার স্বামীকে জোর পূর্বক পিবিআই থানায় নিয়ে যায়। ৪/৫ ঘন্টা থানায় আটক রেখে নতুন করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। কালিগঞ্জ থানার মামলা নং—০৮, তাং ০৪/০৫/২০২৩।আমরা এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ ও আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল বিধায় সংবাদপত্রের মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান পাইতে আকুতি জানান। সেই সাথে প্রতারক সাইদুজ্জামান সহ জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনকালে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ ও তার দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।