স্টাফ রিপোর্টারঃ পিতা হত্যা মামলার আসামীরা জেল থেকে বেরিয়ে তার অন্যান্য সড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে মামলার বাদী ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনসহ তার নিকটজনদের হত্যাসহ নানান হুমকী ধমকী দিচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী উঠেছে। থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়রী ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম মোশাররফ হোসেনকে ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় ৪০ মিনিটে উপর্যুপরি ভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বড় মেয়ে (বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান) বাদী হয়ে পরেরদিনে ৯ সেপ্টেম্বর আব্দুল জলিল, ইয়ার আলী, বাহার আলীসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৬। এই মামলার ১ নং আসামীকে আটক করে ১৫/০৯/১৮ তারিখে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নিয়ে গেলে হাজার হাজার জনতা চড়াও হয়ে পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে মারপিট করে এবং জলিল ডাকাতের মৃত্যু হয়। বাকী আসামীরা আটক হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোশাররফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ইয়ার আলীসহ অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারীরা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের জান ও মালের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। যার কল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে বলে জানা গেছে। এ কারণে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি’র জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় নেত্রী সাফিয়া পারভীন বাদী হয়ে গত ০৮/০৬/২৩ তারিখে ইয়ার আলী, সাজেদুল, রেজাউল, মিজানুর ও নুরুল আমিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন। এসময়ে তিনি জানান, বাবা ও মা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। আমিও জনগনের বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণে কাজ করছি। এবং ইউনিয়নের জনগনকে সাথে নিয়ে মডেল কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন উপহার দিতে ছুটে চলেছি। ঠিক এমন সময়ে বাবা’র খুনিরা ও তাদের দোসররা এক কুচুক্রীর ইন্ধনে জোট হয়ে আমাকেও হত্যার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে আমি ও নিকটজনরা তাদের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত ও আতঙ্কিত। পুলিশ ও প্রশাসনের উদর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানাচ্ছি। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন নিরাপত্তা হীনতার আছেন এ বিষয়ে থানা’র অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান নিজে বাদী হয়ে জিডি করেছেন, বিষয়টা তদন্তনাধীনে আছে। সত্যতা মিললে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।