গ্রামের মানুষের আবেগ অনুভূতি উৎসব-পার্বণের মধ্যে অনেকটাই প্রতিফলিত হয় একটুখানি সুখের পরশ পেতে,তাই গ্রামের বাড়িতে ঈদ উৎসব পালন করা হয়। প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ।সবুজ-শ্যামল-শস্যময় আমাদেরই এই দেশ। তবে এই বিশেষণ আমরা নাগরিক জীবন থেকে পাইনি। গ্রামের প্রকৃতি লালিত পরিবেশই আমাদের এই চিত্র প্রদান করেছে।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা আমের বাম্পার ফলনের কারণে ও চিংড়ি চাষের কারনে এবং গ্রামীণ বৈশিষ্ট্য নিয়েই বিশ্বের বুকে দাঁড়িয়েছে।বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ হাজার গ্রাম রয়েছে এদেশের অভ্যন্তরে। প্রতিটি গ্রামের রয়েছে আলাদা বা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং সেখানকার মানুষের প্রকৃতিও আলাদা। গ্রামের প্রকৃতি ও সেখানকার মানুষ— এই দুই মিলেই গ্রামীণ জীবন রচিত হয়েছে। এ জীবন কখনাে সহজ আবার কখনাে জটিল হয়ে দেখা দিয়েছে আমাদের সামনে। স্থান পেয়েছে সেখানে সুখ- দুঃখ- অনুভূতির নানা গল্প।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্রামই সবুজময়। কারণ নগরায়ণের কাঠিন্য কোনােভাবেই গ্রামকে স্পর্শ করতে পারেনি। তাই দু’চোখ ভরে সবুজ দেখতে মানুষ গ্রামে ছুটে যায় ।তাই আমিও কবির নেওয়াজ রাজ নাড়ির টানে ছুটে এসেছি গ্রামে আম-জাম- কাঁঠালের বাগান যেমন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে; তেমনি মাঠময় সবুজ ফসল সেখানে হাওয়ায় দোলা দিয়ে যাচ্ছে । গ্রামকে তাই বলা হয়েছে ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়।’ সত্যিকার অর্থেই নাগরিক কোলাহল আর গতিময়তা যখন মানুষকে ক্লান্ত করে তােলে, তখন সে গ্রামে ফিরে যায় জীবনে একটুখানি সুখের পরশ পেতে। গ্রামের প্রকৃতি তাকে দু’হাতে জড়িয়ে সেই শান্তির পরশ দেয়।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএমএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।