১৭৭৩ সালে জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট মিনস্টার ম্যাগাজিনে এই কার্টুনটি ছাপা হয়। নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে উৎখাতে ইংরেজদের সহায়তার বিনিময়ে লবন ও অাফিম ব্যবসায়ী উমিচাঁদকে বড় অংকের টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দেন লর্ড ক্লাইভ। কিন্তু এত বিশাল টাকা উমিচাঁদকে দেওয়ার পক্ষে ছিলনা ইংরেজরা, তাই তারা প্রতারণা মুলক দুটি চুক্তিপত্রে তার সই নিয়ে রাখে। ফলে সিরাজের পতনের পরে নবাবের সঞ্চিত সম্পদ থেকে উমিচাঁদ তেমন কিছুই পাননি। বিশাল টাকা না পাওয়ার মানসিক আঘাতে তিনি প্রায় উন্মাদ হয়ে যান। শোক, বিলাপ ও দুঃখ করতে করতে মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর পুরো ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গে রটে যায়, যেহেতু রবার্ট ক্লাইভ উমিচাঁদকে পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি তাই সে ভূত হয়ে রবার্ট ক্লাইভের কাছ থেকে পাওনা বুঝে নিতে আসবেই, ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটতো ক্লাইভের। এ রটনার ঢেউ বিলেত অবধি পৌঁছলে এর উপর ১৭৭৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাগাজিনে একটা কার্টুন ছাপা হয়। তাতে দেখা যায় মেঘের ভেতর থেকে হঠাৎ উমিচাঁদ এসে রবার্ট ক্লাইভের সামনে হাজির, ক্লাইভ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ায় দুজন ইংরেজ কর্মকর্তা তাকে সাহস দিচ্ছে।
“দ্য ঘোষ্ট অফ উমিচাঁদ” কার্টুনটিতে ক্লাইভের ও উমিচাঁদের মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রতারণার ঘটনাটি অত্যন্ত সূক্ষ ও সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছিল সেই যুগে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া ও বাংলাপিডিয়া।
সংকলনেঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক হাসান হাফিজুর রহমান ।