আজ ২০ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি: দুপুরে লবণচরা থানার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৩৩) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। অতঃপর জিরোপয়েন্ট মোড়স্থ খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে রূপকথা রেষ্টুরেষ্টের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) জনাব গোপীনাথ কানজিলাল; লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মমতাজুল হক এবং এসআই (নি:) প্রদীপ বৈদ্য সহ সঙ্গীয় ফোর্স, স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকের সম্মুখে বাসটি তল্লাশি করা হয়।
পরবর্তীতে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহনের বিভিন্ন স্থান এবং যাত্রীদের চেক করাকালে মাসুম বিল্লাহ (২৮), পিতা-মোঃ আলম গাজী, মাতা-রাশিদা বেগম, সাং-শাখরা কমলপুর, থানা-দেবহাটা, জেলা-সাতক্ষীর নামক এক ব্যক্তির আচরণ ও কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হয়। অতঃপর উপস্থিত বাসযাত্রী ও জনগণের সম্মুখে প্রকাশ্যে তার দেহ তল্লাশীকালে ব্যাপক এক পর্যায়ে তার স্বীকারোক্তি মতে তার দুই পায়ে পরিহিত চকলেট রংয়ের জুতার (লোফার) ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা (৬+৬)=১২ (বার) পিস স্বর্ণের বার, যার প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬.৬৫ গ্রাম প্রায় ও সর্বমোট ওজন ১৩৯৯.৭৪ গ্রাম, যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১,৩৪,৪০,৩০৩/-(এক কোটি চৌত্রিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার তিনশত তিন) টাকা উদ্ধারপূর্বক উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত গ্রেফতারকৃত স্বর্ণ চোরা চালানকারী মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানা যায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ এই রুটে স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত। এর পূর্বেও সে পাঁচবার এই রুট ব্যবহার করে স্বর্ণের চালান পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করেছে।
উল্লেখ্য যে, আজকেও ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার বাসযোগে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো এবং সেখান থেকে স্বর্ণ সাতক্ষীরা বর্ডার অঞ্চল দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। উল্লেখিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে এবং কোথা থেকে স্বর্ণগুলো আনা হয়েছে ও কোথায় পৌঁছে দিবে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা ও সাতক্ষীরা প্রান্তের আরও কিছু সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারির নাম খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের হস্তগত হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত স্বর্ণ চোরা চালানকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।