আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নিহতের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন শুনানি আজ। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত ২২ জুলাই বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমবার মিন্নির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। পরে ওইদিনই শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।এরপর গত ২৩ জুলাই মিস কেস দাখিল করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে ফের জামিনের আবেদন করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নথি তলব করে ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) এ জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, মিন্নির জামিন শুনানির সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জামিন শুনানির সময় তার সঙ্গে বরগুনার বেশ কয়েকজন আইনজীবীসহ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী এবং ব্লাস্টের আইনজীবীরাও উপস্থিত থাকবেন।উল্লেখ্য, রিমান্ড শেষে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক রিফাত শরীফ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরে মিন্নিকে কারাগারে পাঠান একই বিচারক।এর আগে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে ওই মামলায় বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই পাঁচ দিন রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।এ ছাড়া শুক্রবার সকালে এ মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৩ জন অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলার দুজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।