তামাক বিরোধী আলোচনা সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
স্বাস্থ্যের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি জানান, ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী তামাক। নিজে ধূমপান না করাই যথেষ্ট নয়, পরোক্ষ ধূমপান থেকেও রক্ষা পেতে হবে। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে তামাকমুক্ত ও উন্নত দেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন মিলিয়ে দেশে প্রতি একশ’ জনের প্রায় ৩৫ জন তামাকজাত দ্রব্যে আসক্ত। এছাড়াও মধ্য বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলোর একশ’ মিটারের মধ্যে অবস্থিত মুদি দোকানের অন্যান্য দ্রব্যের সঙ্গে তামাকজাতদ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করতে দেখা গেছে। তামাক কোম্পানির এসব অপতৎপরতা রুখে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মহিনুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার শাখার পরিচালক পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত এসপি (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন, আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) বিভূতি ভূষন ব্যানার্জী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ও নফসের প্রতিনিধি, রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ।