কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জে ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। অপসারণের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে, ব্যাবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী ও সাধারণ গ্রাহক। যে কোন মুহুর্ত্বে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
ভুক্তভোগী ও গ্রাহদের লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, বাযলাদেশ জনতা ব্যাংক, বাঁশতলা বাজার শাখা ব্যবস্থাপক শামীম আজাদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ করেছেন। বাঁশতলা বাজারে পল্টি ফিডের দোকান মালিক শাওন হোসেন জানান, (৪ জুলাই) তিনি একজনের নামিও ২ লাখ টাকার চেক নিয়ে ব্যাংকে টাকা উঠাতে জান। ম্যানেজার শামীম আজাদের নিকট চেকটি জমা দেন শাওন। ২ লাখ টাকার চেক দেখে ম্যানেজার বলেন এটা আপনার নামের চেক নয়, যার নামের চেক তাকে নিয়ে আসতে হবে। গ্রাহক শাওন বলেন তিনি চেক লিখে দিয়ে জরুরী কাজের জন্য ভারতে চলে গেছে, ম্যানেজার চেকের টাকা দিবে না বলে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করতে থাকেন। শাওন কোন উপায় না পেয়ে বাঁশতলা বাজারের বনিক সমিতির সভাপতি জয়দেব বিশ্বাসের কাছে গিয়ে বিষয়গুলি অবহিত করেন। সভাপতি জয়দেব কুমার বিশ্বাস ম্যানেজারের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সৎ উত্তর নাদিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান । সভাপতি তাৎক্ষণিক কোন উপায় না পেয়ে কালিগঞ্জ জনতা ব্যাংকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন চেক নিয়ে আমার এখানে পাঠিয়ে দেন। গ্রাহক শাওন চেক নিয়ে কালিগঞ্জ জনতা ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করেন । সূত্রে জানা গেছে, তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহক হয়রানি করে চলেছেন। ব্যাংক স্টেমেন্ট নেওয়ার জন্য ২শ ৩০ টাকা করে নিচ্ছে ম্যানেজার, যার কোন ডকুমেন্টস নেই ও নতুন একাউন্ট খোলার জন্য ২শ টাকা অথবা এক কেজি করে মিষ্টি না দিলে একাউন্ট খোলা হবে না । এমনিভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। ম্যানেজারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও গণস্বাক্ষর দিয়েছে বাঁশতলা বাজারের ব্যবসায়ীসহ শত শত গ্রাহক । অভিযোগের আলোকে ম্যানেজারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং স্বাক্ষাতে কথা বলেন বলে জানান। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা জেলার জনতা ব্যাংকের জিএম রঞ্জন কুমার বিশ্বাসকে মুঠোফোনে বিষয়গুলো জানালে তিনি বলেন আমি দ্রুত এর ব্যবস্থা নিবো কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি অজ্ঞাত কারনে দুর্নীতি পরায়ন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। ফলে যে কোন মুহুর্ত্বে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ভুক্তভোগীদের দাবী দ্রুত সময়ে অপসারণ করা হোক বিতর্কিত ব্যাংক কর্মকর্তাকে।