ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনীদের বাড়িঘর,দোকানপাঠ,মন্দির ভাংচুর,লটুপাঠ ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘু সনাতনীদের বাড়িঘর,দোকানপাঠ,মন্দির ভাংচুর,লটুপাঠ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টায় জেলার সর্বস্তরের সনাতনীদের আয়োজনে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে শুরু করে পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকা পর্যন্তহাজার হাজার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি শহরে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,বিজয় তালুকদার বিজু,ইস্কন মন্দিরের মহাপ্রভূ রাজশ্যাম গোপাল দাস,চন্দন প্রসাদ রায়,কলি তালুকদার আরতি,সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রদীপ পাল নিতাই,সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন,এড. প্রনব কান্তি দাস,বিশ্বজিৎ সরকার,মন্তোষ চন্দ,নারায়ন চক্রবর্তী,মিলু চৌধুরী,হিমাদ্রি রায় প্রান্ত প্রমুখ। বক্তারা বলেন ইতিমধ্যে দেশের ৫২টি জেলার উপরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর,দোকানপাঠ ভাংচুর,লুটপাঠ,অগ্নিসংযোগসহ নারীদের উপর অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তারা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের প্রস্তাব উল্লেখ করে আরো বলেন,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ও দোকানপাঠে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান,সীমান্ত অঞ্চলের যেসব এলাকার মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তাদের নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা, ঘরবাড়ি নির্মান ও পূর্ণবাসন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রুপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন প্রদান এবং অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করা,সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক স্বতন্ত্র জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন,ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেস নিরাপত্তা প্রদান করা,বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির ঘরবাড়ি,প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাঠের দ্রæত সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা এবং ৮নং হলো সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান। অন্যতায় এই দাবী পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা দেয়ার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন নেতারা।