ইউসুফ আলী খান।। ঢাকার সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে প্রধান করে ৩২১ জনের হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা মো: আলমগীর।
মামলার অন্যান্য আসামিদের হলেন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক, পৌর মেয়র আব্দুল গনি এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ চৌধুরী।মামলার সব আসামিরাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগষ্ট সকালে সাভারের আউকপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনতে সাভার বাসস্ট্যান্ডে যান। এসময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর গুলিসহ হামলা চালায় মামলার আসামিরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন। পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় সাভারের সাবেক সাংসদ এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক, পৌর মেয়র আব্দুল গনি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাসুদ চৌধুরীর নামসহ ৩২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজামান বলেন, আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের বাবা ৩২১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আানা হবেও বলে তিনি জানান।
অপর দিকে আশুলিয়া থানায় পারভেজ দেওয়ান, মঞ্জু দেওয়ান, মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল লতিফ মন্ডল , মতিউর রহমান মতি, সাদেক ভূঁইয়া, এনামুল হক মুন্সী ,, কবির সরকার, সুমন ভূঁইয়া, শাহাবুদ্দিন মাদবর সহ ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাকিনুর রহমানের স্ত্রী শারমিন।
ঢাকার সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে প্রধান করে ৩২১ জনের হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার রাতে সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা মো: আলমগীর।
মামলার অন্যান্য আসামিদের হলেন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক, পৌর মেয়র আব্দুল গনি এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ চৌধুরী।মামলার সব আসামিরাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগষ্ট সকালে সাভারের আউকপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনতে সাভার বাসস্ট্যান্ডে যান। এসময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর গুলিসহ হামলা চালায় মামলার আসামিরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন। পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় সাভারের সাবেক সাংসদ এবং দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক, পৌর মেয়র আব্দুল গনি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাসুদ চৌধুরীর নামসহ ৩২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজামান বলেন, আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের বাবা ৩২১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আানা হবেও বলে তিনি জানান।
অপর দিকে আশুলিয়ায় ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাকিনুর রহমানের স্ত্রী শারমিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে ঘটনার দিন ৫ আগস্ট বেলা আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় শাকিনুর ভাদাইল পশ্চিমপাড়া তার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে বলিভদ্র বাজার যায় প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস পত্র কেনাকাটার জন্য। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপরে গুলি চালায়। এতে করে শাকিনুর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
ভুক্তভোগী শারমিন বলেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৫ ই আগস্ট আমার স্বামী শাকিনুর নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনাকাটা করার জন্য ভাদালই পশ্চিম পাড়া ভাড়া বাসা হইতে বের হয়ে বলিভদ্র বাজার যায়। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি আমার স্বামী সাকিনুর বাইপাইলে গুলিবিদ্ধ হযে আরএমটি টাওয়ার এর সামনে পরে আছে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি আমার স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে লোক মারফত জানতে পারি তাকে চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আমি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার স্বামী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি এস এম সায়েদ বলেন,আন্দোলনে গুলি বিদ্ধ হয়ে নিহত সাকিনুরের স্ত্রী শারমিন ১৫৮ নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় তারা হবে বলেও তিনি জানান।