কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকায় অনেকটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কেন্দ্রটিতে। ফলে জরুরী মুহূর্তসহ প্রায় সময়ই রোগীদের ছুটতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ হাসপাতালে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তিন ইউনিয়নের লোকজনকে।জানা যায়, দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের এই বহুল সংখ্যক লোকজনের কেউ অসুস্থ হলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পেতে ছুটে যায় বাড়ির পাশের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী সাধারণ অসুখ নিয়ে উপস্থিত হয় এখানে। কিন্তু এ কেন্দ্রগুলোতে নেই চিকিৎসক সেটা থেকেও বঞ্চিত এখানকার রোগীরা। আর জরুরী কোন রোগী আসলে চিকিৎসক না থাকায় সে ক্ষেত্রে দ্রুত তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্র বা হাসপাতালে ছুটতে হয়। এর ফলে অনেক সময় প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা না পেয়ে সংকটাপন্ন রোগীরা পথেই দুর্ঘটনার শিকার হন।উপরোক্ত কথাগুলো জানান দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিরা। তারা বলেন,দুই তালা ১০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র থাকার সত্বেও দুই মাসের ও বেশি নেই কোন চিকিৎসক প্রায় ১৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোন বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়নি । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একজন পরিবার কল্যান পরিদশিতা রওশানারা জলি ছাড়া আর কেউ নেই।তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ২ মাসের বেশি চিকিৎসক তো দূরের কথা বিদ্যুতের কোনো ব্যাবস্তা নেই অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিনিয়ত ফিরে যায় ।এই বিষয় দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান দেশের বাইরে থাকায় তার সাতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ব্যাপারে কথা হয় চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগী রোগীদের সাথে তারা জানান, ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। কিন্তু দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসকসহ বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই ও লোকবল না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সহযোগিতা করায় এক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেলেও এসব এনজিও’র প্রকল্প কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দেবে যদি কোন চিকিৎসকের ব্যবস্থা না হয় । তাই দ্রুততম এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ৩ ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।