লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী: রাজশাহী বোয়ালিয়া থানা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজা ও তার ছোট ভাই রাসেল, চিন্হিত সন্ত্রাসী কতৃক উপুর্যকৃত ছুরিকাঘাত করা হয়। ঐদিন রাসেল মারা যায় এবং রাজা বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম-উল-আযিম, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, রাসেলের স্ত্রী বর্ষা, মামলার বাদি মনোয়ার হোসেন রনি, ঘটনার দিনে আহত সুজন আলী মনাসহ প্রায় অত্র এলাকাবাসীরা।
মানববন্ধন থেকে মামলার প্রধান আসামি সুজন, স্বপন, রিপন, কুলি বাব,শাহীন,কাশেম,পেদুবাবু,বাপ্পি,ঠান্ডুসহ সকল আসামীকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া আহত রাজার দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করে উপস্থিত এলাকাবাসীরা।
প্রসঙ্গত এর আগে রেল ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিহত রাসেলের ভাই আনোয়ার হোসেন রাজার সঙ্গে মহানগর সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুপুরে রেল ভবনের সামনে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধা। এ সময় রাসেলসহ পাঁচজন আহত হন। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল মারা যান।নিহত রাসেল রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সদস্য। নগরীর বাস্তুহারা এলাকায় তার বাড়ি। রাসেলের বাবার নাম মৃত আবুল কাশেম। সংঘর্ষের সময় রাসেলের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে জানান চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা।