উজ্জ্বল রায়, নড়াইলঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি কদমতলা গ্রামের মৃত। ঈমান শেখের ছেলে, মোঃজাহাঙ্গীর শেখের স্ত্রী সাগরীকা বেগম গত(১১ জানুয়ারী) শনিবার নিজ স্বামীর বাড়ি কদমতলা থেকে শিশু ছেলে ইসমাইল শেখকে ছোট রিক্সা কিনে দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে বস্তা বন্দি লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকে জানান, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,(২৯ জানুয়ারী) বুধবার দুপুর ২ টার সময়, মাগুরা জেলার শালিখা থানার বুনোগাতী ইউনিয়নের দেশমুকপাড়া গ্রাম এলাকার চিত্রা নদীতে মুখবন্ধ অবস্থায় একটি বস্তা দেখেন স্থানীয় দেশমুকপাড়া গ্রামবাসী মূহুর্তের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গ্রামবাসী সাথে সাথে শালিখা থানায় খবর দেন তাৎখনিক পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বস্তাটি নদি থেকে উঠিয়ে দেখেন,হাত, পা,বাধাঁ অবস্থায় বস্তার ভেতরে একটি মেয়ের মরা দেহ। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় এবং পুলিশের তৎপরতায় মরা দেহটির পরিচয় পাওয়া যায় এবং মহিলার মরাদেহটি সনাক্ত করেন, কালিয়া উপজেলার কদমতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখ। এদিকে শালিখা থানার ওসি মো:তরিকুল ইসলাম জানান, আমরা দেশমুকপাড়া গ্রামের নদিতে একটি বস্তা বন্দি মরা দেহ পাই, মরা দেহটি পাওয়ার পরে বিভিন্ন যায়গায় খোজখবর নিয়ে জানাজায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখ।
স্ত্রী বলে, জাহাঙ্গীর শেখসহ জাহাঙ্গীর শেখের শাশুড়ি মৃত, মহিলার মা সনাক্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রমাণের জন্য নিয়ে আসেন।
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের সাথে মৃত, মহিলার পরিচয় মিলে যায়,পরে মরা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে,ময়নাতদন্ত শেষ হলে স্বজন”রা মরাদেহটি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন,প্রজনীয় আইনি ব্যবস্থার পস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, জাহাঙ্গীর শেখ জানান,(১১ জানুয়ারী)সনিবার সকালে আমার স্ত্রী সাগরিকা বেগম ছেলের ছোট রিক্সা কিনতে আমার বাড়ি থেকে নড়াইলের উদ্দেশ্যে বের হয়,পরের দিন খোজ পাই যে মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে খড়ের গাদায় একটি ১ বছরের শিশু পাওয়া যায়,খবর শুনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নড়াইল ডিসি অফিসে হাজির হয়,পরে ডিসি অফিস,সমাজ সেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার ও সাংবাদিকের সহযোগীতায় খুলনা ছোটমনি নিবাস থেকে আমার ছেলে ইসমাইল শেখ কে বাড়ি নিয়ে আসি।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমার স্ত্রী সাগরিকার কোন সন্ধান পাইনি,(২৯ জানুয়ারী)বুধবার শালিখা থানা থেকে আমাকে ফোন করে বলেন,আমরা একটি বস্তা বন্দি মহিলার মরাদেহ পেয়েছি,আপনার স্ত্রী হলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান নিয়ে আসেন,এসে দেখি আমার স্ত্রী সাগরীকা বেগম,বলে জাহাঙ্গীর শেখ জানান।
জানাযায়, সাগরীকা বেগমের জাহাঙ্গীর শেখের সাথে বিবাহের আগেও ৩ টি বিবাহ ছিল,এবং জাহাঙ্গীর শেখ ৪ নাম্বার স্বামী এবং ৩ নাম্বার স্বামীর সাথে যোগাযোগ ছিল সাগরীকা বেগমের,পাশাপাশি জাহাঙ্গীর শেখের বাড়িতেও যাতায়াত করতেন,তারই সুবাদে পরকীয়ায় মোজে বাড়ি থেকে ছেলে নিয়ে বের হন,পরে ছেলেকে খড়ের গাদায় রেখে ৩ নাম্বার স্বামীর হাত ধরে পালিয়ে যায়,বলেও জানা যায়।
এদিকে
নড়াইল কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি কদমতলা গ্রামের মৃতঃঈমান শেখের ছেলে,মোঃজাহাঙ্গীর শেখের স্ত্রী সাগরীকা বেগম গত(১১ জানুয়ারী) শনিবার নিজ স্বামীর বাড়ি কদমতলা থেকে শিশু ছেলে ইসমাইল শেখকে ছোট রিক্সা কিনে দেয়ার কথা বলে স্বামী জাহাঙ্গীর শেখের কাছথেকে স্ত্রী সাগরীকা বেগম খরচ বাবদ ২০০ টাকা নিয়ে নড়াইলে বাচ্চার রিক্সা ক্রয় করতে সকালে বের হন।
সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা পার হলেও স্ত্রী সাগরীকা বাচ্চার রিক্সা ক্রয় করে স্বামীর বাড়ি কদমতলা ফিরে আসেন নি।
সন্ধ্যার দিকে দিন মুজুর স্বামী জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী সাগরীকার মা জাহাঙ্গীরের শাশুড়ি কে ফোনে জানতে চান,সাগরিকা তার বাড়িতে গিয়েছে কি না,শাশুড়ি বলে তার বাড়িতে আসেনি।
পরে স্বামী জাহাঙ্গীর শেখ তাৎক্ষনিক সকল আত্তীয় স্বজনসহ সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরের দিন জাহাঙ্গীর শেখের চাচাতো ভাই ফিরোজ শেখ কে দিয়ে নড়াইলে সাংবাদিক মোঃরফিকুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানান।
এদিকে ১১ জানুয়ারী রোববার খুব ভোরে নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এক বছরের শিশুকে খড়ের গাদায় পাওয়া যায়,পরে গ্রামবাসী গ্রামের সকলের কাছে শিশুটি পরিচয় জানার চেষ্টা করলে শিশুটির পরিচয় না পেলে সাথে সাথে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে কৃত শিশুটিকে সরকারী ছোটমনি নিবাস,মহেশ্বরপাশা খুলনায়(১২ জানুয়ারী) রোববার বিকালে প্রেরণ করেন।