নর্ডিক শহর আলবর্গ (Aalborg) এর রাস্তায় হাঁটতে গেলে একটু বেশী বেশী মশলার গন্ধ পেতে হবে।কারণ এ তল্লাটে পঞ্চবিংশতি অনূঢ়’দের জন্য রয়েছে একেবারেই আলাদা সাজা। পঁচিশ পূর্ণ হয়েছে অথচ এখনও অকৃতদার!! তাতো চলবে না বাপু। ঐ সকল অনূঢ় কিংবা অনূঢ়া কে পঁচিশ’ তম জন্মদিনে খাম্বা কিংবা খুঁটির সাথে নিদনপক্ষে চেয়ার বসিয়ে হাতপা বেঁধে ফেলা হয়, এরপর শুরুহয় তার গায়ে দারুচিনির গুড়া বর্ষণ, পুরো শরীর মশলার গুড়ায় ঢেকে না যাওয়া পর্যন্ত চলতেই থাকে সে হোলি। শোনা যায়, ষোল শতকে ডেনিশ যুবারা দূর দুরান্ত থেকে মরিচ, দারুচিনি সহ বিভিন্ন মশলা এনে ফেরি করতো। সেসব যুবাদের Pebersvends বা Pepper dudes ” মরিচ কুমার” আর মেয়েদের Pebermo বা মরিচ কুমারী বলা হতো। হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারশনের রুপাকথায় ও এদের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার ১৮৫৮ সালে লেখা এক গল্পে Peppersvendens Nathu নামের একজন তো কোনও নারীর দ্বারস্থ না হয়ে আজীবন মরিচ কুমার (Pepper boy) ই থেকে গিয়েছিলো। সেকালে এসকল মশলার ফেরিওয়ালারা নিজ পায়ে দাঁড়ানোর আশায় আশায় পিঁড়িতে না বসেই জীবন পার করে দিতো। তাই সেকাল থেকেই কুমারত্বের বিরুদ্ধে এই সামাজিক প্রতিরোধের সূচনা!!! সার্বজনট চল হয়ে ওঠে ডেনমার্কে। এরপরেও যদি কেউ অবিবাহিত থাকার দুঃসাহস দেখায় তবে তার ৩০তম জন্মদিনে দারুচিনির পরিবর্তে মরিচের গুড়া ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য পাতলা কাপড়ে নাকটা ঢেকে দেয়া হয়। আর মশলা যাতে ঠিক মতো কাজ করে সেজন্য গায়ে ভাঙ্গা ডিম মেখে আর জল ছিটিয়ে অভাগাটিকে ভালো করে মেরিনেট করে নেয়া হয়…
লেখক ঃ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির আইন প্রশিক্ষক Hasan Hafizur Rahman